মেহেরপুরে পটলের বাম্পার ফলনে খুশী কৃষকরা

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  10:39 PM, 20 July 2022

পটল একটি জনপ্রিয় উচ্চমূল্য সবজি। খরিপ মৌসুমের সবজি হলেও বর্তমানে প্রায় সারা বছরই বাজারে পটল পাওয়া যায়। ফলন ও দাম ভালো হওয়ায় গত কয়েক বছর ধরে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা পটল চাষে ঝুঁকেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গতবারের ন্যায় এবারও মেহেরপুরে পটলের বাম্পার ফলন হয়েছে।
হাট-বাজার গুলোতে আমদানিও বেশ ভালো। মাস খানেক পূর্বে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমান খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা কেজি দরে। কোথাও কোথাও এর কম কিংবা বেশি মূল্যেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। দেশি ও হাইব্রিড এ দু’ধরনের জাতের হওয়ায় বাজার মূল্যের তারতম্য হয়েছে। তবে বর্তমান বাজার মূল্যে পটল চাষিরা অনেকটাই খুশী।
গাংনী উপজেলার কল্যাণপুর গ্রামের পটল চাষি তারিকুল ইসলাম জানান, আমি ১০ কাঠা জমিতে পটলের আবাদ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
এপর্যন্ত কয়েকবার প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২ মন করে পটল তুলে বিক্রি করেছি। দামও ভালো। আশা করছি ১০ কাঠা জমিতে ৮০ থেকে ১০০ মন পটল বিক্রি করতে পারবো।
মাইলমারী গ্রামের পটল চাষি নূর ইসলাম ও হুদা জানান, চারা লাগানোর ৩ মাসের মধ্যে পটলের ফুল আসে। এর ১২-১৪ দিন পর পটল সংগ্রহের উপযোগী হয়।
তিনারা জানান, প্রথম বছর ফসল সংগ্রহের পর পটল গাছের গোড়া নষ্ট না করে তা রেখে দিয়ে পরবর্তী বছরে পরিচর্যার মাধ্যমে গুড়িচারা থেকেও পটল উৎপাদন করা সম্ভব। তিনারা ভালো ফলন পাচ্ছেন বলেও জানান।
কাজীপুর গ্রামের পটল চাষি ফয়সাল জানান, প্রতি বছরই কাজীপুরের কৃষকরা পটলের আবাদ করে থাকে। তবে মাটিতে আবাদ না করে মাচাতেই পটল চাষ করে থাকে এ এলাকার কৃষকরা। ফলনও ভালো পেয়ে থাকে। একারণেই প্রতি বছর পটলের আবাদ করে থাকে।
হাড়াভাঙ্গা গ্রামের ইউসুফ আলী জানান, প্রতি বিঘা জমিতে পটল চাষে ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। বাজার মূল্য ভালো হলে তা বিক্রি করে লক্ষাধিক টাকা আয় করা সম্ভব।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, সঠিক সময়ে কৃষকরা পটলের বীজ রোপণ করে পরিচর্যার মাধ্যমে ভালো ফলন পেয়েছে। কৃষকদের ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন কৃষি বিভাগ।

আপনার মতামত লিখুন :