গাংনীতে এবার গমের বাম্পার ফলনের আশা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার গমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা।
গাংনীতে ধানের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে তুলনামূলকভাবে বেড়েছে গম চাষ। গত বছরগুলোতে গাংনীতে গম ক্ষেত ব্লাস্ট রোগের আক্রমণের কারণে বেশির ভাগ জমিতে চাষ হয়েছিল মসুর ও তামাক। তবে এ বছর উপজেলার সব মাঠে প্রচুর গম চাষ হয়েছে।
গত মৌসুমে এ উপজেলায় ৬ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছিল। গত মৌসুমে ঝুঁকি নিয়েও যারা গম চাষ করেছিলেন তারা অধিক ফলন পেয়েছিলেন। চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। গম চাষে বাম্পার ফলনের আশা চাষিদের।
গাংনী উপজেলার কামারখালী গ্রামের কৃষক হাসান মাহমুদ বলেন, গত বছর ৬৬ শতক (২ বিঘা) জমিতে গম চাষ করেছিলাম। তাতে ফলন হয়েছে ৩৬ মণ। আমি এ বছরে একই জমিতে গম চাষ করেছি। আশা করি আগের চেয়ে এ বছর ফলন ভালো হবে।
পলাশীপাড়া গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, গত বছর তিনি ৫০ শতক জমিতে গম চাষ করে ছিলেন তাতে ফলন পেয়েছেন ২১ মণ। তিনি এ বছর একই জমিতে গম চাষ করেছেন। আবহাওয়া ভালো হলে এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন তিনি। হিন্দা গ্রামের আব্দুল গফুর জানান, তিনি ৫০ শতক জমিতে এ বছর গম চাষ করেছেন।
গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি মেম্বর আবু বকর জানান, উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি গম-৩৩ চাষ করেছেন। অনেকেই বারি-৩০ ও বারি-৩১ ও ৩২ জাতের গম চাষ করেছেন। গম চাষের শুরু থেকেই ব্লাস্ট নামের ছত্রাক জনিত রোগটির বিষয়ে এবার যথেষ্ট সজাগ আছেন তারা। তাই সময়মতো জমির পরিচর্যা করাসহ ব্লাস্ট ছত্রাক থেকে বাঁচতে বালাইনাশক স্প্রে করবেন বলে জানান তারা।
কৃষি বিভাগের পরামর্শ উপেক্ষা করে গত বছর যেসব কৃষক গম চাষ করেছিলেন কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সময় মতো গম ক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করায় ফলন ভালো হয়েছিল। তাই উপজেলায় গম ক্ষেত গুলোতে এবার ছত্রাকের প্রকোপ দেখা যায়নি।
জনশ্রুতি রয়েছে, চলতি মৌসুমে শীতের প্রকোপ বেশি। তাই বেশি শীতে গম ক্ষেত ভালো হয়। তবে গাংনী উপজেলায় গমের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশা করছেন।
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, এ বছর রবি মৌসুমে উপজেলায় ৭ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে।