মেহেরপুরে সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজের সাথে একই জমিতে কলা

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:49 AM, 17 February 2022

মেহেরপুরে পেঁয়াজের সাথেই সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজের জমিতেই কলা চাষ করেছেন কৃষকরা। দেশের বিভিন্ন স্হানে কমবেশি পেঁয়াজ চাষ করা হলেও পাবনা এলাকার চাষিরা সর্বাধিক পেঁয়াজ চাষ করে থাকে। পাবনার পাশাপাশি মেহেরপুরের কৃষকরাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি তুলনামূলক ভাবে ব্যাপক পেঁয়াজ চাষ করে থাকে মেহেরপুরের কৃষকরা।
মেহেরপুর জেলার সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার প্রায় সকল এলাকাতে পেঁয়াজের চাষ হলেও মুজিবনগর উপজেলায় পেঁয়াজ চাষ চোখে পড়ার মতো।
মেহেরপুরের মাটি সবজি চাষের জন্যে উপযোগী হওয়ায় প্রায় সকল ধরনের সবজি চাষ করা হয়ে থাকে এখানে।
সকল ধরনের সবজি চাষ করলেও পেঁয়াজের গুরুত্বও কম নয়। আর পেঁয়াজের সাথেই সাথী ফসল হিসেবে কলা কে বেছে নিয়েছে কৃষকরা।
মেহেরপুরে বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজ চাষ করা হলেও সুখ সাগরের চাষ বেশি হয়ে থাকে। প্রতি বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে ব্যয় হয় প্রায় ৪০/৪৫ হাজার টাকা। খরচ বেশি হবার কারণেই অনেকে পেঁয়াজ আর কলা একসাথে চাষ করে থাকে এতে করে বাজার দর ভালো হলে অনেক বেশি মুনাফা অর্জন করা যায়। তাছাড়া একটি ফসলের বাজার দর কম হলেও আরেকটিতে পুষিয়ে যায়। তাছাড়া কলার বাজার দরও কম নয়। সে হিসেবে সাথী ফসলে কপাল ভালো হলে প্রচুর লাভবান হওয়া যায়।
একারণেই অনেক চাষিই এখন পেঁয়াজ চাষের সাথে কলা, কচু কিংবা হলুদ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৩০৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ১২০০ হেক্টর, গাংনী উপজেলায় ৩৫০ হেক্টর এবং মুজিবনগর উপজেলায় ১৫০০ হেক্টর।
তবে গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, উপজেলায় ৫৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।
জেলায় কলা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫০০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে মেহেরপুর সদর উপজেলায় ৮০০ হেক্টর, গাংনী উপজেলায় ৫০ হেক্টর এবং মুজিবনগর উপজেলায় হেক্টর ৬৫০ জমিতে।
তবে সাথী ফসল হিসেবে পেঁয়াজের সাথে একই জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে এমন সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও অধিকাংশ কৃষকই এমন চাষ করেছেন। মুজিবনগর উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের সাথে কলা চাষ হয়েছে বলে মুজিবনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যে কিছুটা তারতম্য রয়েছে। মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ পূর্বের তথ্য দিয়েছেন হয়তো এমনটি বলেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চাষিরা তাদের আশানুরূপ ফলন ও মূল্য পাবে বলে আশাবাদী।
মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক স্বপন কুমার খাঁ জানান, পেঁয়াজের সাথে একই জমিতে কলা চাষের জন্যে মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তারা সকল ধরনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

আপনার মতামত লিখুন :