গাংনীতে জোরপূর্বক তছরুপ করা হলো তিন বিঘা জমির ফসল
কৃষকের সাথে শত্রুতার জের ধরে ৩ বিঘা জমির পাট, ধোঞ্চে, কচু, মরিচ ও বেগুন গাছ তছরুপ করলো দুর্বৃত্তরা। উঠতি ফসল হারিয়ে কৃষক ইয়ারুল ইসলাম এখন পাগলপ্রায়।
ঘটনাটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের মহম্মদপুর গ্রামের পাকালের মাঠে। শনিবার(২৬জুন) মধ্য রাতে গ্রামের কয়েকজন জোরপূর্বক ফসল তছরুপ করলেও প্রাণভয়ে তাদের থামাতে পারেননি ভুক্তভোগীরা। প্রতিকার চেয়ে গাংনী থানায় সাত জনের নামে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
মহম্মদপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে চাষী ইয়ারুল ইসলাম জানান, পাকালের মাঠে আমার তিন বিঘা জমির পাট, তিন বিঘা ধঞ্চে, ১ বিঘা পাঁচ কাঁঠা মরিচ, ১০ কাঠা কচু ও ১০ কাঁঠা জমির বেগুন হ্মেত কেটে তছরুপাত করে দিয়েছে গ্রামের কয়েকজন। খবর পেয়ে রাতেই লোকজন নিয়ে মাঠে গিয়ে তাদের অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তারা দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে ফসল তছরুপাত করে। এতে আমার ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
তিন জানান, আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পাট ও ধঞ্চে কাটা হবে। এছাড়া কচু, বেগুন ও মরিচ চলতি ফসল।
একই গ্রামের মৃতু আব্দুল আলীমের ছেলে হাসেম আলী, তাহাজ উদ্দিন, ইকরাম হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মৃতু মসলেম উদ্দিনের ছেলে ইদ্রিস আলী, টগর হোসেন ও মৃতু ইসমাইল হোসেনের ছেলে লালান হোসেনের নামে থানায় অভিযোগ করেছেন ইয়ারুল ইসলাম। ওই জমি নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এর আগেও তারা একই জমির ধান এবং তামাক হ্মেত পুড়িয়ে দিয়েছিল । এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগী জানান, তারা শুধুমাত্র গায়ের জোরে এভাবে ফসল বিনষ্ট করে দেয়। প্রতি বছরই ক্ষতি হয়। কিন্তু কোন প্রতিকার মেলেনি। একজন চাষী পরিবারের মানুষ হয়ে বারবার ক্ষতির শিকার হওয়ায় পথে বসার উপক্রম বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ইয়ারুল।
এদিকে অভিযুক্ত হাসেম ও তাহাজ উদ্দীন জানান, ওরা আমাদের জমি জোর করে দখলে নিয়েছে। আগে আমাদের জমির ফসল তছরুপাত করেছে। তাই তাদের জমির ফসলও কেটে দিয়েছি।
ঘটনার সত্যতা জানিয়ে স্থানীয মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ জানান, যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিচার হওয়া দরকার।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান বলেছেন, অভিযোগটি আমলে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।