মেহেরপুরে মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে আমগাছ : ভালো ফলনের আশা আম চাষীদের

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:18 PM, 19 March 2022

মেহেরপুরে ফাল্গুন মাসের প্রথম থেকে আমগাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিতে শুরু করেছে সোনালি রঙের মুকুল। বোম্বাই,ন্যাংড়া,তিলি বোম্বাই,ফজলি,আমরুপালি,মোহনভোগ,হিমসাগরসহ বিভিন্ন জাতের মুকুলে ছেয়ে গেছে আমবাগান। এতে ভালো ফলনের আশা করছেন মেহেরপুরের আম চাষিরা। তবে কিছু কিছু প্রজাতির আমগাছে মুকুল কিছুটা কম ধরেছে। সব মিলে ভালো ফলনের আশা করছেন আম চাষীরা।
গত বছরে গাছে প্রচুর পরিমাণ আম আসলেও বৃষ্টিপাত-ঝড় ও রাতের তাপমাত্রা বেশি থাকায় আশানুরূপ ফলন হয়নি। এবার শীতের শেষে বেশ কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় আমগাছের জন্য ভালো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবে এবং গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভের আশা করছেন আম চাষিরা।
মেহেরপুর সদর,গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার প্রায় সব গ্রামে আম উৎপাদিত হয়। তবে বেশির ভাগ আমের আবাদ হয় মুজিবনগর উপজেলায়। আম চাষের জন্য উপযোগী বেলে,দোঁ-আঁশ মাটি হওয়ায় মেহেরপুর অঞ্চলে আম চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে দিন দিন। চাষিরা বলেন, এ অঞ্চলে ফাল্গুনের শেষ পর্যন্ত আমের মুকুল আসার সময়। তবে এবার ফালগুনের শুরুতেই কিছু কিছু আমগাছে মুকুল এসেছে।
গত বছরে আমের মুকুল এসেছিল প্রচুর পরিমাণ। তবে প্রচন্ড বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে চাষীরা বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছিলেন। এবার প্রায় সব গাছে আশানুরূপ মুকুল এসেছে। তবে গুটি আসেনি।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, জেলায় এবার ২৩শ হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে ।

এদিকে,মুকুল আসার শেষ মুহূর্তে গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। গাছভর্তি মুকুলের সমারোহ। মুকুল যেন ঝরে না যায়, সে জন্য সেচ ও কীটনাশক দেওয়া হচ্ছে। মুকুল থেকে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত মৌমাছিও। এসব আম বাগানের পাশ দিয়ে হাঁটলে,মৌমাছির মৌ-মৌ গন্ধে মন ভরে যায়।
গাংনী উপজেলা শহরের বাসিন্দা আম চাষি ও প্রভাষক হারুন-অর-রশীদ রবি বলেন,১ বিঘা জমিতে বিভিন্ন জাতের আম বাগান করেছি। গত বছরের মতো এবারও প্রায় সব গাছে আশানুরূপ মুকুল এসেছে। তবে ন্যাংড়া জাতের আমগাছে মুকুল একটু বেশি এসেছে। যদিও গুটি আসা শুরু হয়নি। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আমের ফলন বেশি হবে। একই এলাকার আম চাষি আরজ আলী বলেন, যে পরিমাণ মুকুল দেখা যাচ্ছে, তাতে ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
এদিকে,মেহেরপুরের আম মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় এবার এ জেলার আম ইউরোপে রপ্তানী হবে বলে জানা গেছে। এ জেলার আমের খ্যাতি রয়েছে সারাদেশে। গত বছরে এ জেলার আম ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বেকার-যুবকরা অনলাইলের মাধ্যমে আম বিক্রি করে বেশ লাভবান হয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন :