বালিতে সয়লাব শেখ রাসেল হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু! জনদুর্ভোগে পথচারীরা!

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:04 PM, 06 April 2022

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন বাসীর দীর্ঘ দিনের আন্দোলন, সংগ্রামের ফসল শেখ রাসেল হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু। কুষ্টিয়া শহর হতে অদূরে নদীবেষ্টিত একটি জনপদের গল্পটা কয়েক বছর আগেও ছিলো হতাশাজনক। প্রমত্ত পদ্মা নদীর শাখা গড়াই নদী মাত্র আধা কিলোমিটারের কম দুরত্বে শহর হতে গ্রামকে যুগের পর যুগ বিছিন্ন হয়ে ছিলো যার ফলে হরিপুর সহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগ ব্যবস্থা থমকে ছিলো। গ্রাম থেকে শহর মাঝখানে প্রায় আধা কিলোমিটার গড়াই নদী বিশাল পার্থক্য গড়ে তোলে। শহরের কাছাকাছি থেকেও আধুনিকতা থেকে পিছিয়ে। জীবনের ঝুৃকি নিয়ে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে সকল শ্রেণী পেশার মানুষ জীবন জীবিকার তাগিদে কুষ্টিয়া শহর সহ আশেপাশের কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন ধরণের ব্যবসা বাণিজ্য করে জীবিকা নির্বাহ করতো। প্রবাদ আছে কুষ্টিয়ার শহরের অধিকাংশ ব্যবসায়ী হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। হরিপুরের মানুষ না এলে কুষ্টিয়া শহর অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। গড়াই নদীতে নৌকা দিয়ে ১০হাজার মানুষ খেয়া পারাপার হতো। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নির্বাচনী ইস্তেহার অনুযায়ী হরিপুর বাসীকে ২৪ইং মার্চ ২০১৭সালে আনুষ্ঠানিকতা ভাবে শতকোটি টাকা ব্যয়ে শেখ রাসেল হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতু উপহার দেওয়া হয়। কিন্তু অবৈধ ভাবে রাতদিন ট্রলি চলাচল করায় শেখ রাসেল হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতুর উপরে দুপাশে বালিতে সয়লাব হয়ে আছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। শেখ রাসেল হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতুর এমন বেহাল দশায় সাধারণ জনগণের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বিভিন্ন মহলের অদৃশ্য ইশারায় বালি কিংবা ট্রলি এইসব অবৈধ সিন্ডিকেট চলছে যুগের পর যুগ। জনদুর্ভোগ বা জনগণের জন্য ভাবার মতো কেউ নেই। দিন যায় শুধু এইসব সিন্ডিকেটের হাত বদল হয়। জনদুর্ভোগে নাকাল সাধারণ মানুষ তো সিন্ডিকেট বোঝে না শুধু একটু নির্বিঘ্নে চলাচলের অধিকার চাই। তাই এলাকাবাসীদের দাবী কোন আশ্বাস নয় খুব শীঘ্রই শেখ রাসেল হরিপুর কুষ্টিয়া সংযোগ সেতুর উপর বালি অপসারণ করা হোক।

আপনার মতামত লিখুন :