১৫ স্টলে সাজানো হয়েছে ৩০০ ধরনের পিঠা, গাংনী পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসব

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:21 PM, 24 January 2024

শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসবগ্রামীণ ঐতিহ্য ও নতুন প্রজন্মের কাছে হরেক রকমের পিঠার পরিচয় তুলে ধরতে মেহেরপুরের গাংনী পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো গেলো পিঠা উৎসব। আজ বুধবার দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ উৎসবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ১৫টি স্টল সাজানো হয়েছিল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী ৩০০ রকমের বাহারী ও মুখরোচক পিঠা। ভোজন রসিকরাও এসে পিঠা খেয়ে নানা প্রশংসা করছেন। আর আয়োজকরা বলছেন প্রতি বছরই এমন আয়োজন থাকবে নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠা পুলির পরিচিতির জন্য। মেহেরপুরের গাংনী পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ে চত্ত্বরে শুরু হওয়া এ পিঠা উৎসবে ছিল বেশ ভিন্নতা। গ্রামীণ লোকজ ঐতিহ্য নাম ছিল স্টল গুলোর। শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে তৈরী করা এসব পিঠা সাজিয়েছেন তাদের স্টলে। শোভা পাচ্ছে- পিয়াসা, পাটি সাপটা, আন্দসা, চিতই, ভাপা, পুলি, সরু, মালাই রোল, চিটা রুটিসহ ৩০০ ধরণের পিঠা সাজানো রয়েছে ১৫ টি স্টলে। ভোজন রসিকরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর স্বাদ নিচ্ছেন। সেই সাথে অনেকে এসেছেন তাদের সন্তানদেরকে পিঠা পুলির স্বাদের পাশাপাশি পিঠার সাথে পরিচয় ঘটাতে।

শিক্ষার্থীরা জানান,অনেক পিঠার সাথেই আমাদের পরিচয় হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক পিঠার নাম জানা থাকলেও স্বাদ মনে নেই। আজকের এই পিঠা উৎসবে অনেক পিঠা খেয়ে ছোট বেলার অনেক স্মৃতিই মন করিয়ে দেয়। এভাবে শীতভর পিঠা উৎসব হোক গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে।

পিঠা উৎসবে ঘুরতে আসা সাইফুল ইসলাম জানান,
বিশেষ করে শীতকালে নানা ধরণের পিঠাপুলি তৈরী হয় প্রতিটি বাড়িতে। বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। পিঠা উৎসবের আয়োজন এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহিঃপ্রকাশ।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম শাহা জানান,শীতের শেষের দিকে হলেও আমরা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহি পিঠা নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবে বিলুপ্তি হওয়া সহ নতুন নতুন পিঠা নিয়ে স্টল সাজানো হয়েছে। নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ পিঠা খেতে এসেছেন। আমাদের এই উৎসবে যারা এসেছেন তাদের দাবীর পেক্ষিতে প্রতিবছরই এমন বর্ণাঢ্য আয়োজন হবে।

৭৪ মেহেরপুর-০২(গাংনী) আবু সালেহ মোঃ নাজমুল হক সাগর জানান,গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হারিয়ে যাওয়া পিঠাপুলির সাথে পরিচিত করতে প্রতিটি স্কুলে শীতকালীন পিঠা উৎসবের আয়োজন এর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান এই সংসদ সদস্য।

আপনার মতামত লিখুন :