গাংনীতে লাউ চাষ করে সফলতা পেয়েছে অনেক কৃষক

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:37 PM, 05 May 2024

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার অনেক কৃষক লাউ চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সফলতা ও লাভ করেছেন তারা। বিঘা প্রতি আয় করছেন লাখ টাকা। আর কৃষি বিভাগ বলছে লাউ চাষে দেওয়া হচ্ছে সার্বিক সহযোগিতা।

সবজি খ্যাত গ্রাম মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি। গ্রীষ্মকালে লাউ চাষ করে সফল হয়েছেন এ গ্রামের শত শত কৃষক। তীব্র তাপদাহের মধ্যেও ভালো ফলন আশায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। এক বিঘা লাউ তৈরি করতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হলেও লাভ বিক্রি করে আয় করছেন মাসে ১ লাখ এক লাখ বিশ হাজার টাকা। বিষমুক্ত এই লাউ দেশের বিভিন্ন স্থানে রপ্তানি করা হচ্ছে। একদিকে জেলার সবজির চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলায় প্রতিদিন ট্রাক ভর্তি হয়ে যাচ্ছে এই এলাকার সবজি।

সরেজমিন দেখা যায়, লাউ খেতে মাচার নিচে ঝুলছে ছোট-বড় শত শত সবুজ লাউ। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। এ লাউ চাষাবাদে তার খরচ হয়েছে ১৫-২০ হাজার টাকা। বিষমুক্ত লাউ চাষের কারণে বাজারে তার লাউয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অল্প শ্রম, পুঁজি ও সীমিত জমিতে লাউ চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া সম্ভব। বাজারে লাউয়ের চাহিদা থাকায় বেশ লাভবান হচ্ছেন।

সাহারবাটি গ্রামের লাউ চাষি সাইদুর রহমান গাংনীর চোখ’কে জানান, জমিতে লাউ চাষ করেছি এতে আমার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। বর্তমানে ক্ষেত থেকে ৩০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি। যদি কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাত শুরু হয় তাহলে এক থেকে দুই দিন পর পর জমি থেকে ১০-১২ টাকা লাউ বিক্রি করা সম্ভব হবে।

নওয়াপাড়া গ্রামের চাষী আখতারুজ্জামান গাংনীর চোখ’কে জানান, ইতিমধ্যে ক্ষেত থেকে লাউ বিক্রি শুরু করেছি। তীব্র তাপদাহের কারণে জমিতে পানি ধরে রাখতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরেও অনেক পরিমাণ লাউয়ের ফুল ও গুটি এসেছে এবার এক বিঘা জমি থেকে লাখ টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছি।

সাহারবাটি গ্রামের আড়ত মালিক আবুল কাশেম গাংনীর চোখ’কে জানান, ইতিমধ্যে কৃষকেরা তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত লাউ বিক্রির জন্য আড়তে নিয়ে আসছেন। দাম ও ভালো পাচ্ছেন। এখান থেকে প্রত্যেকদিন ৫-৭ ট্রাক লাউ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন গাংনীর চোখ’কে জানান, এবার গাংনী উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে লাউ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। একমাত্র কে ১৫ হেক্টর জমিতে লাউ চাষ করেছে কৃষকেরা। লাউ চাষে খরচের তুলনায় অধিক পরিমাণে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকেরা ঝুকছেন লাউ চাষে। চাষীদেরকে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।

আপনার মতামত লিখুন :