শৈশবের স্মৃতি
মনে পরে আজ বসে, কৃষ্ণচূড়ার নীচে
খেলেছি কতো খেলা, শৈশবের বেলা,
কৃষ্ণচূড়ার ডালে ফুটতো কত ফুল
বটের ছায়ায় বসে শ্রান্ত হতো ব্যাথা
খেলেছি কত খেলা মিলে দুষ্টের দল
কত কলরব ছিল তখন যখন চৈত্র মাস!
এ গাঁ থেকে ও গাঁয়ে যেতাম
ধরেছি খালে মাছ-
গরুর পাল নিয়ে
পাড়ি দিয়েছি কতনা নদী খাল!
তখন ছিলাম দুরন্ত দুষ্ট এক বালক
দুপর হলেই কাটতাম সাঁতার
ছুটোছুটি পালায়ন-
তনু আর টুকু হাসত দেখে
আমার দুষ্টুমি-
আজ কোথায় থাকে ওরা সে খবর না জানি।
নাপিত বাড়ির তপন আমার বন্ধু ছিলো বেশ
কত গল্প করেছি দু’জনে তাহার নাই শেষ!
কত বন্ধু ছিল আমার শৈশবের বেলা-
লেলিনের কথা মনে পরে আজো
করেছি কত খেলা-
লেলিন আমি এক সাথে স্কুলে যেতাম রোজ
লিপিকা একদিন গোলাপ দিয়ে করেছিলো প্রোপোজ,
আমার চেয়ে একটু বড় বয়স তাহার ঢেড়
সে কারনে প্রত্যাক্ষান করেছিলাম
লিপিকার প্রোপোজ!
কষ্ট পেয়েছে কিনা সে বুজতে পারিনি তখন
বহু বছর পর সেই কথা মনে পরছে আজো।
হাসি পায় এখন পরে যখন
শৈশবের স্মৃতি মনে-
জানিনা ওরা আমার কথা
রেখেছে কিনা মনে!
লেখকঃহাওলাদার বেলাল