যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে,গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  04:04 PM, 19 April 2022

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ। আজ মঙ্গলবার(১৯এপ্রিল) দুপুরে ৭৪মেহেরপুর-০২(গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন এমপির বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন তার কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর গুলি বর্ষণ করলে ফুসে উঠে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। তাদের দাবী ছিল মোশাররফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করার। পুলিশ প্রশাসন মোশাররফ হোসেনকে হেফাজতে নেয়। এ সময় কর্মীদের দাবীর প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়।পুলিশ ও ব্যবসায়িদের অনুরোধে এবং জনস্বার্থে এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো। তিনি আরও জানান, যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যখন তখন আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে যা অনভিপ্রেত। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেছেন।সাংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করেন মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাহিদ্জ্জুামান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, পুলিশ হেফাজতে নেওয়া যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেনকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।। যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন কথায় কথায় তার আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন এবং গুলিবর্ষণ করে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন।সংবাদ সম্মেলনে তার ঘোষিত কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। জনস্বার্থে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হল বলে জানিয়েছেন তিঁনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর আ.লীগ সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, যুবলীগ নেতা রাহিবুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান সিপু, সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম ফারুকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রীক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মোশাররফ হোসেন কোন প্রকার উচ্ছৃংখল কাজকর্ম করবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে পৌর মেয়রের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। গুলি বর্ষণের ঘটনায় কোন মামলা কিংবা জিডি হয়নি। আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

উল্লেখ্যঃআওয়ামী লীগের দু’পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের জের বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর মধ্যে সোমবার সন্ধ্যায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাইফুজ্জামান সিপুসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যায়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে বাতবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মোশাররফ হোসেন তার পিস্তল দিয়ে চার রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এতে নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে সড়ক অবরোধ মোশাররফ হোসেনকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। পুলিশ মোশাররফ হোসেনকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।

আপনার মতামত লিখুন :