মেহেরপুরে অবাধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যন্ত্রদানব ট্রাক্টরট্রাক

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:11 PM, 29 January 2023

মেহেরপুর শহরে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাটি ও বালি বহনের কাজে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যন্ত্রদানব ট্রাক্টরট্রাক। সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সামনেই মেহেরপুর শহরের প্রধান ও অলিগলির রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাটি ও বালু টানার কাজে ব্যবহৃত অবৈধ ট্রাক্টরগুলো। অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই ট্রাক্টরগুলো দেদারছে মাটি ও বালি বহন করছে। যে কারণে এগুলোর বিরুদ্ধে কোন অভিযান পরিচালনা করতে দেখা যায় না।
চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত এসব ট্রাক্টরট্রাক সড়কে নিষিদ্ধ হলেও প্রতিনিয়ত শহরের অলিগলির রাস্তা দিয়ে মাটি ও বালি পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। যার ফলে ধ্বংস হচ্ছে রাস্তা আর ধুলোবালিতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। পাকা, আধাপাকা ও কাঁচা সড়ক ইট-মাটি-বালি ও কাঠ-গাছ পরিবহনকারী অবৈধ ট্রাক্টরের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছে শহর থেকে গ্রামের মানুষ। প্রতিনিয়ত নতুন সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার করা হলেও যন্ত্রদানব ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে সড়কগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
মাটি টানার কাজে ব্যবহৃত ট্রাক্টর, থ্রিহুইলার, সিএনজি চালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিতসহ অন্যান্য অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
কিন্তু বর্তমানে মেহেরপুরে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রাক্টরগুলো মাটি নিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকার ইট ভাটায় যাওয়া-আসা করছে। এসব ট্রাক্টর থেকে নরম ও কাদামাটি পড়ে সড়ক পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে। দিনে রাত এসব ট্রাক্টরগুলো দাপিয়ে বেড়ালেও এসব বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কোন কার্যকর ভূমিকা চোখে পড়ে না। স্থানীয়রা জানান, ট্রাফিক পুলিশ বিভিন্ন মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালালেও অজ্ঞাত কারণে মাটি বহনকারী ট্রাক্টরট্রলি বন্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় না। অথচ প্রতিদিন তাদের চোখের সামনেই মাটি বহনকারী ট্রাক্টরগুলো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এর আগে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে মাটি ও বালি বহন করতে দেখা গেলেও এবার দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। রাত থেকে ভোর পর্যন্ত প্রধান সড়ক দিয়ে মাটি ও বালি বহন করলেও দিন বাড়ার সাথে সাথে শহরের অলিগলির রাস্তা দিয়ে মাটি বহন করতে দেখা যাচ্ছে। শহরের প্রধান ও অলিগলির সড়কগুলো খুব বেশি প্রশস্ত নয়। যে কারণে যাতায়াতকারীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ধুলোবালিতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
এবিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ফেরদৌস জানান, আমরা কোন সুবিধা নিচ্ছি না। আমাদের লোকবল সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

আপনার মতামত লিখুন :