মাদ্রাসায় দানের মাংসও সুপারের বাড়িতে !

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:51 PM, 10 January 2021

মাদ্রাসায় দানের ১০ কেজি ওজনের ছাগলের মাংসের ছাত্ররা পাই ১ কেজি চর্বি, এসব ব্যাপক অভিযোগ আর অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে মেহেরপুরের গোভীপুর মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ।

মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভীপুর মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং এর ছাত্রদের সহ-সভাপতি দ্বারা অমানবিক ভাবে মারধর এবং বোর্ডিং সুপারের অশালীন আচরণ ও  বিভিন্ন অনিয়মের প্রতিবাদে মেহেরপুর সদর থানায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন মাদ্রাসা ছাত্ররা।  রবিবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানাগেছে মেহেরপুর সদর উপজেলার গোভীপুর মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং এর ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক অনিয়ম,ছাত্রদের সাথে অশালীন আচরণ সহ বোর্ডিং সুপার সাদিকুল রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনা কমিটির কাছে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ লিখিত ভাবে প্রদান করে ছাত্ররা। ছাত্রদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করেন। পরে গোভীপুর মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং এর পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি শাজাহান আলী শান্ত লিল্লাহ বোডিং এর ছাত্র অনিক হোসেন, সাদেক আলী, বনি আমিন সহ কয়েকজন ছাত্রকে অমানবিক ভাবে মারধর করেন। ওই ঘটনায় লিল্লাহ বোডিং এর সকল ছাত্র তাদের  বোডিং পত্র সহকারে মেহেরপুর সদর থানায় এসে অভিযোগ দাখিল করেন। ছাত্রদের অভিযোগের ভিত্তিতে মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ আমিরুল ইসলাম এবং ইন্সপেক্টর সাদমানী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজামান, লিল্লাহ বোডিং ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান লিল্লা বডিং এ পৌঁছান ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা মুফা জানান, একব্যাক্তি মাদ্রাসার ছেলেদের খাওয়ার জন্য ১০ কেজি ওজনের একটি ছাগল দান করে। সেই ছাগলের মাংসের মধ্যে ৪ কেজি মাংস ওরা খেয়ে ফেলে আর বাকি ৬ কেজি মাংস সাদিকুলের বাড়িতে ছিল। ছাত্ররা চাইতে গেলে তাদের ১ কেজি চর্বি দেয়।

বোডিং সুপার সাদিকুল রহমান বলেন, আমি মনে জেনে তেমন কোন অন্যায় করিনি, তবে মানুষ মাত্রই ভুল ত্রুটি কিছু হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মাংসর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা হাফেজ সাহেব জানান আমার কিছু বলার নেই।

বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  ও দাখিল মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি  শাহজামান বলেন, বোডিং সুপারের বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তাকে তার দায়ীত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবং ছাত্রদের যে সব অভিযোগ আছে তা আস্তে আস্তে সবগুলো কমিটি পুরণ করা হবে। সেই সাথে বোডিং এরও কিছু নিয়ম আছে সে গুলো ছাত্রদের মানতে হবে। এ নিয়ম গুলো তারা না মেনে চলে যাওয়ার কথা বলে। আমি তাদের বোঝাতে চেষ্ট করলাম তারা  সেটা বুঝতে চাইলো না।  যেহেতু  ইউনিয়ন পরিষদে আমার অনেক কাজ থাকায় আমি চলে যায়।

আপনার মতামত লিখুন :