নির্মাধিন রাস্থা ৭ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:30 AM, 13 April 2022

মেহেরপুরের বাড়িবাঁকা সড়কে মাত্র দেড় কিলোমিটার রাস্তার নির্মাণ কাজ গত ৮ মাসেও শেষ না হওয়ায় ৭ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই। রাস্তার নির্মাণ সামগ্রী যেখানে সেখানে ফেলে রাখা ও নানা খানাখন্দের কারনে প্রতিনয়তই ঘটছে দুঘটনা। সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের প্রবেশ পথ হিসেবে ব্যবহৃত হয় রাস্তাটি। কাজের ধির গতিতে বিপাকে পড়েছে হাজারো মানুষ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ ঠিকাদার ও এলজিইডির উদাসিনতার কারনে মাসের পর মাস রাস্তাটি পড়ে রয়েছে। রাস্তায় যেখানে সেখানে ইটের স্তুপ, জায়গায় জায়গায় ছোট ছোট গর্তের কারনে ঘটছে দুর্ঘটনা। এলজিইডির শাখা ব্যবস্থাপকের উপস্থিতিতে রাস্তায় ব্যবহার হচ্ছে নিম্নমানের মানের ইট।
মেহেরপুর বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ জামান বলেন , এই রাস্তার ঠিকাদার কে তাই জানিনা। এই রাস্তা এখন ৭ গ্রামের গলার কাঁটা। অপরিকল্পিত ভাবে কাজের কারনে প্রতিদিন এখানে ঘটছে দুর্ঘটনা। ইতি পূর্বে এই সড়কের নির্মাণ কাজের অব্যবস্থাপনার কারনে ১ জনের মৃত্যুও হয়েছে।
গ্রামের রাহাত মন্ডল বলেন. গত মাঘ মাসে (৮মাস আগে) এই দেড় কিলোমিটার রাস্তার কাজ শুরু হয়েছে । রাস্তার ওপরে ইট বালু রাখার কারনে একজন কৃষক ট্রাক চাপায় মারা গেছে। এসময় গ্রাম বাসী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেন কিন্তু অদৃশ্য কারনে থানা সে মামলা নেয়নি ।
মেহেরপুর এলজিইডির এসও (শাখা ব্যবস্থাপক) রফিকুল ইসলাম জানান, এই কাজটি নিয়ে আমরা ঝামেলায় আছি। ঠিকাদারের খামখেয়ালির জন্য কাজ শেষ হচ্ছেনা। তিনি এও স্বিকার করেন এখানে নিম্নমানের  ইট ব্যবহার হচ্ছে।
এলজিইডির মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, নিম্নমানের মানের ইট ওখানে কিছু রয়েছে। তা ঠিকাদারকে তুলে নিতে বলা হয়েছে। তাছাড়া রাস্তাটি যত দ্রুত সম্ভাব আমরা শেষ করবো।
ঠিকাদার তৌহিদুল ইসলাম বলেন ৫৫ লাখ টাকা ব্যায়ে রাস্তার কাছ চলছে। রাস্তার কাজের সময়ও শেষ হয়ে গিয়েছে। সঠিক সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় আরো ৩৫ দিন মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :