কুষ্টিয়ায় স্কুল ছাত্র রহস্যজনক নিখোঁজ

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  01:43 PM, 05 July 2023

দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সজীব নামে এক স্কুল ছাত্র নিখোঁজ হয়েছেন। এবিষয়ে মিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে সে নিখোঁজ নাকী অপহরণ এ নিয়েও গুঞ্জন চলছে। এ দিকে সজিবকে ডেকে নিয়ে যাওয়া জামিরুল নামের এক যুবক বাড়িতে ফিরে আবার গাঢাকা দেয়ায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

নিখোঁজ স্কুল ছাত্র সজীব (১৪) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের খয়বার আলীর মেজো ছেলে ও ছাতিয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে গত শনিবার (০১ জুলাই ২০২৩) দুপুর ১ টার দিকে নিখোঁজ হয়।

পারিবারিক ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ঘটনার দিন দুপুর ১ টার দিকে একজনের সাথে ফোনে কথা শেষ করে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয় সজীব। রাত হয়ে গেলে বাড়ি ফিরে না আসলে পরিবারের লোকজন তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে ফোন দিলে তা বন্ধ পায়। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজির প্রাক্কালে আশেপাশের লোকজনের কাছে জানতে পারে সজীবকে পোড়াদহ(তেঁতুলতলা) গ্রামের মৃত মুনারের ছেলে জামিরুল (৩০) নিয়ে গেছে। সজীব যাওয়ার সময় বাড়িতে বাক্সে রক্ষিত ১,০০,০০০ টাকা নিয়ে যায়। এছাড়াও তার কাছে আরও ৩৫,০০০ টাকা ছিলো। এরপরে জামিরুলের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে যোগাযোগ করলে সে স্বীকার করে সজীব তার সাথে ছিলো,তার সাথে গেছে এবং সজীব সেখানে আছে। সে চলে এসেছে। কিন্তু সেখানটা কোথায় সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু না জানিয়ে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলতে থাকে এবং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গার নাম বলতে থাকে।

জামিরুলকে জিজ্ঞাসা করলে কখনো কুমিল্লার চাঁদপুর,কখনো দিনাজপুর, কখনো জয়পুরহাটে আছে বলে জানায়।পরে সে সজীবের নম্বর বলে একটা নম্বর দেয়। এরপর থেকে জামিরুল তার ব্যবহৃত মুঠোফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়।

সজীবের বাবা জামিরুলের বাড়িতে গিয়েও তাকে পায়নি। পরবর্তীতে জামিরুলের দেওয়া নম্বরটিতে ফোন দিলে একজন মেয়ে নিজেকে বৈশাখী নামে পরিচয় দেয় এবং সেখানে সজীব নামে কেউ নেই বলে জানায়। মেয়েটাকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলার আনপুরা গ্রামে থাকে বলে জানায়। এরপর সে নম্বর ব্লাকলিস্টে দিয়ে দেয়।

এবিষয়ে সজীবের বাবা খয়বার আলী বলেন,”জামিরুল আমার নাবালক ছেলের মস্তিষ্ক ধোলাই করে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে কোথায় নিয়ে গেছে। এখন সে আমার ছেলের কোনো ঠিকানা দিচ্ছে না। সে নিজেও আত্মগোপনে আছে।

এদিকে সজিবকে ডেকে নিয়ে যাওয়া জামিরুল এলাকায় ফিরে ফোন বন্ধ করে আবার গাঢাকা দেয়ায় সজিবের ভাগ্যে কি ঘটেছে তা নিয়ে চরম হতাশা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনাতিবাদ করছে সজীবের পরিবার। জামিরুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সজিবের নিখোঁজের রহস্য উদঘাটন হবে বলে ধারনা এলাকাবাসীর।

এবিষয়ে জানতে মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপনার মতামত লিখুন :