এবার পোশাকের পরে মেহেরপুরের চশমার দোকানে ক্রেতাদের ভিড়

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:08 AM, 27 April 2022

চশমা ছাড়া ঈদে ঘোরাঘুরি অনেকটাই বেমানান। ঈদের মাত্রা প্রাণবন্ত করতে মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা শহরের প্রায় সকল চশমার দোকানগুলোতে ভিড় জমেছে ক্রেতাদের। রমজানের ২০ রোজার পর নিঃশ্বাস ফেলার সময় পাচ্ছেন না বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে সোমবার (২৫ এপ্রিল), মেহেরপুরের চশমার দোকানগুলোতে চশমা ক্রয় করতে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো।
মেহেরপুর জেলা শহরের লর্ড মার্কেট, হোটেল বাজার, কোর্ট রোড, আমঝুপি, মুজিবনগরের দারিয়াপুর, কেদারগন্জ, গাংনীর কাথুলী মোড়, এসএম প্লাজা, চাল পট্টি, বামুন্দী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার চশমার দোকানগুলোতে ক্রেতা বিক্রেতাদের কেনাবেচার চিত্র ছিল ভিন্ন রকম।
এছাড়াও ভ্রাম্যমান ও ফুটপাতেও বাহারি ডিজাইন ও বিভিন্ন দামের চশমার দেখা মিলেছে। তবে এসএম প্লাজার সোহান চশমা ঘরের চিত্র ছিল একেবারে ভিন্ন। সকাল থেকেই চরম ভীড় পরিলক্ষিত হয়।
চশমা ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান মানিক জানান, বাচ্চাদের দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের চশমা বেশি বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া যুবক যুবতীদের জন্যও বিভিন্ন ডিজাইনের সানগ্লাস বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। অন্যান্য চশমা তো রয়েছেই, চলছে আগের মতোই। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার ৫’শ টাকা মূল্যের নানা ধরনের চশমা এখানে রয়েছে বলে তিনি জানান।
ঈদুল ফিতর কে কেন্দ্র করে ছোট বাচ্চাদের জন্য চশমা ক্রয়ের জন্য এসেছেন গ্রামাঞ্চল থেকে তাদের বাবা-মা। এছাড়াও দুর দুরান্ত থেকে এসেছেন বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ঈদের আনন্দে চশমা ক্রয়ের জন্য। কেউ কেউ ক্রয় করছেন তাদের বান্ধবী, আর বান্ধবীরা তাদের বন্ধুর জন্য। প্রতিবছরই ঈদ আসলে তারা বাহারি ডিজাইনের সানগ্লাস ক্রয় করে থাকেন বলে জানান। চশমা ছাড়া নাকি ঈদের ঘোরাঘুরিই হয়না।
তারা জানান, অনলাইনে অর্ডার করার চেয়ে মার্কেটে এসেই কিনতে পছন্দ করি। মানিক ভাইয়ের চশনার দোকানে দামাদামি করা লাগেনা। নিজেদের সাধ্যের মধ্যেই এখান থেকে চশমা ক্রয় করা যায়। ফুটপাতেও চশমা দেখে এসেছি খুব খারাপ নয়। তবে দামাদামি করা লাগে। তাছাড়া ক্রয় করে বেশির ভাগ সময়ই আসল ব্র্যান্ডের বলে নকল হয়ে থাকে। ক্রয়ও করতে হয় চওড়া মূল্যে। একারণেই দোকান থেকে ক্রয় করে থাকি, এখানে প্রতারণার সম্ভাবনাও নেই।
কাথুলী মোড়ের আমীন ফার্মেসি চশমা ঘরের শামিম জানান, ফার্মেসির পাশাপাশি নতুন চশমার দোকান দিয়েছি। নতুন নতুন বেচাবিক্রি খুব একটা ভালো ছিল না। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে আগের তুলনায় এখন বিক্রি ভালো হচ্ছে।
চাল পট্টির কামাল জানান, মানুষের রুচির পরিবর্তন ও মানের বিষয়ে সচেতন হওয়ায় এ বছর ব্র্যান্ডের চশমার চাহিদা বেড়েছে। তবে সার্বিকভাবে সারা বছর যে পরিমাণ চশমা বিক্রি হয়, তার বড় অংশই নন ব্র্যান্ডের। আর প্রতি বছর ২০-২৫ শতাংশ চশমা বিক্রি হয় এ ঈদুল ফিতর আর ঈদুল আজহাতে।
বামুন্দী শহরের আব্দুল আলীম বলেন, সব ঈদেই নিত্যনতুন ডিজাইনের সানগ্লাস আসে বাজারে। এছাড়া প্রতিদিনই নতুন নতুন ডিজাইনের চশমা আসছে। তবে সে তুলনায় ক্রেতা আসছে কম। আমরা আরও ভালো বিক্রি আশা করেছিলাম। কারণ দীর্ঘ সময় পর করোনা সংক্রমণ কম নিয়ে ঈদ এসেছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, যেহেতু প্রখর রোদ আর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে সে হিসেবে সানগ্লাসের বেচা বিক্রি অনেকটাই বেশি। কারণ রোদের তীব্রতা আর গরম অনেক বেশি। সে বিষয়টি মাথায় রেখে সবাই রোদ থেকে নিজের চোখ কে তাপমাত্রা আর দাবদাহ থেকে বাঁচাতে সানগ্লাসকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন।

আপনার মতামত লিখুন :