এতিম ছাত্রী লাইছার দায়িত্ব নিলেন নুরুল আশরাফ রাজিব

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  05:04 PM, 26 October 2020

কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিব সব দায়িত্ব নিলেন এতিম ছাত্রী লাইছা`র প্রায় ৩ বছর পূর্বে মায়ের মৃত্যু, ৭ মাস পূর্বে পিতার মৃত্যু, ৮ মাস আগে একমাত্র বড় ভায়ের মৃত্যু । জীবিত বলতে তার বড় বোন, চাকরির সুবাদে থাকেন চট্টগ্রামে। অবুজ ছোট্ট শিশু রাইসা আফরোজ তুশি । নিকটাত্মীয় বলতে নানী, সেও থাকেন অন্যের বাড়িতে । ৮ বছর বয়সী লাইছা`র সামনে ঘোর অন্ধকার। লাইছা মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী যার রোল নম্বর ১।

মেহেরপুর শহরের ফৌজদারি পাড়ার বাসিন্দা। এমন ঘোর অন্ধকার জীবন এর কথা শুনে এগিয়ে এলেন মেহেরপুর পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল আশরাফ রাজিব।

সোমবার থেকে রাইসার লেখাপড়া থেকে শুরু করে সকল দায়িত্ব তুলে নিলেন নিজের কাঁধে, নুরুল আশরাফ রাজিবের অফিসে ডেকে এনে লাইছা কে তার দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন।

এ সময় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অলোক কুমার দাস, মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক গাজী মোহাম্মদ ফজলে রাব্বী, গাংনী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহাবুবুর হক , সাংবাদিক মাহবুব চাঁন্দু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, তার নানী হালিমা খাতুন প্রমুখ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। রাজিব বলেন রাইসা ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, আমি ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এখানে ওয়ার্ড কোন বিষয় নয়, মানুষের সেবা করাই মানুষের ধর্ম, সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই রাইসার লেখাপড়াসহ তার সকল ভরন পোশনের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছি।

উল্লেখ্য লাইছা আফরোজ তুশির পিতা মহাসিন আলী ৭ মাস পূর্বে হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন,তার মা মালা খাতুন ৩ বছর পূর্বে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন,বড় ভাই তুষার আজ থেকে ৮ মাস পূর্বে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। জীবিত একমাত্র বড়বোন লতা আক্তার থাকেন চট্টগ্রামে। রাইসার নানা থেকেও নেই, নানি থাকেন তার নানির বাসায়।

আপনার মতামত লিখুন :