তার হাত কতো লম্বা ? চট্রগ্রামে বসে গাংনীর ছাতিয়ান গ্রামে হামলা !

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:54 AM, 05 November 2021

আব্দুল্লাহ আল আছিল গাংনী উপজেলার নওদা মটমুড়া গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আশরাফুল ইসলামের ছেলে। চট্রগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে ২৮ অক্টোবর বিকেল সোয়া ৫টায় বামন্দী থেকে হানিফ পরিবহনের একটি বাসে রওনা দেন। চট্রগ্রামে পৌঁছান পরদিন সকালে। ৩০ অক্টোবর সকাল পৌনে দশটায় তিনি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।

পরীক্ষা সম্পন্ন করে ২ নভেম্বর রাতে বাড়ি ফেরেন তিনি। অথচ গেল ২৯ অক্টোবর ছাতিয়ান গ্রামের একটি গন্ডগোলের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হাসেম বাদি হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৭০/৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আসামিদের সকলেই স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদের কর্মী সমর্থক। ভোট পরাজয়ের ভয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সোহেল আহম্মেদ। জনগণ আবুল হাসেমকে প্রত্যাখ্যান করায় মিথ্যা মামলা তার একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলেও জানান সোহেল আহম্মেদের কর্মীরা।
স্বতন্ত্র চেয়াম্যান প্রার্থী সোহেল আহমেদ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মার্কা ও মেম্বার পদপ্রার্থী মোতালেব হোসেনের টিউবওয়েল মার্কার পোস্টার ছিড়তে থাকে নৌকা প্রার্থীর লোকজন। এসময় স্থানীয় লোকজনের সাথে নৌকা প্রার্থী আবুল হাশেমের সমর্থকদের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
আর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মটমুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবুল হাশেম বাদী হয়ে গাংনী থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। সরকারি দলের ক্ষমতার দাপটে মামলাটি রেকর্ড করতে পুলিশ বাধ্য হয়ে বলে অভিযোগ তাদের।
ছাতিয়ান গ্রামে সেদিন কি ঘটেছিল ?
ছাতিয়ান গ্রামের মেম্বার পদপ্রার্থী মোতালেব হোসেন জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ১১ টার দিকে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল হাশেম ও তার আনুমানিক ৩০/৪০ জন সমর্থক মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে করে ছাতিয়ান বাজারে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। সেই সাথে আনারস মার্কার ও আমার টিউবওয়েল মার্কার পোস্টার ছিড়তে থাকে এবং নানান ভাষায় হুমকী ধামকী দিতে থাকে। তারা আমাদের উপর হামলাও করে। স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করলে তারা পালিয়ে যায়। এ সময় আবুল হোসেন মেলেটারী ও গালিব নামের দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জনতা। মামলা তো আমার করার কথা। অথচ তারা উল্টো মিথ্যা মামলা করে আমাদের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
কুমারীডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমরা খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করেছি। আটককৃতদের উদ্ধার করে তাদের নিকট আত্মীয়দের কাছে হস্তান্তর করেছি। এবিষয়ে পরে গাংনী থানায় মামলা হয়।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহেল আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, আবুল হাশেম শুধুমাত্র দলীয় পদটি আওয়ামী লীগের গ্রহণ করে রেখেছেন বাকি আর কোন কিছু নেই। জনগণ তার সাথে নেই, স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার সাথে নেই। যার ফলে সকল ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে। পারিবারিক, জনগণ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের মানুষের চাওয়া-পাওয়ায় আমি নির্বাচণে অংশ নিয়েছি। এক কথায় আমি জনতার চেয়ারম্যান।
এ বিষয়ে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্যঃওই মামলায় ২৭ নম্বর আসামি আব্দুল্লাহ আল আছিল।।

আপনার মতামত লিখুন :