রাজাকার মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন, সংবাদ সম্মেলনে রাজাকারের তালিকা প্রকাশ হয়েছে সেটি দেখাতে পারেনি

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  04:03 PM, 18 April 2022

মেহেরপুরে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলে রাজাকার পুত্রকে সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন ও সম্পাদক মকলেছুর রহমান মকুলকে অপসরন করে আওয়ামী পরিবারের সন্তানদের দিয়ে গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে মেহেরপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে রাজকার অনুপ্রবেশকারী ও হাইব্রিড মুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন বাস্তবায়ন পরিষদ এ সংবাদ সম্মেলণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার পরিবারের সন্তান অনুপ্রবেশেকারী ছদ্মবেশে ঢুকে পড়েছে। এদের অত্যাচার নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত আদর্শ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধ ত্যাগী দু:সময়ের নেতা কর্মীরা আজ দলে অবহেলিত। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বার বার নির্দেশনা দিয়েছেন যে বাংলাদেশের আয়ামী লীগের কোন গুরুত্ব পূর্ণ জায়গায় রাজাকার অনুপ্রবেশ কারি থাকবেনা। কিন্তু মেহরপুর গাংনী উপজেলার সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি চিহ্নিত গণি রাজাকারের পুত্র ও সাধারণ সম্পাদক মকলেচুর রহমান মকুল অপর চিহ্নিত কুখ্যাত রাজাকার আব্দুল মান্নানের পুত্র। আমরা এই দুই জনারই অপসারন চাই। সাংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন গত ১০ এপ্রিল গাংনী উপজেলা সম্মেলনে দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজ্জাম্মেল হক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষনার পর দলের অন্য নেতারা হাউজ থেকে ওয়ার্ক আউট করে এর প্রতিবাদ করে। তার পরও বিএম মোজ্জাম্মেল সম্পূর্ণ পক্ষাপাতিত্ব মূলক ভাবে দুই রাজারকে দলের দায়িত্ব দিয়েছেন। তিনি এর দায় এড়াতে পারেনা। আমরা দলের এই দায়িত্বশীল ব্যক্তির পক্ষাপাতিত্ব মূলক আচারণের তদন্ত চায়। এই দুই কুখ্যাত রাজাকার পুত্রর অপসরনের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বাংলাদেশ আওয়মী লীগের সভানেত্রী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাজাকার অনুপ্রবেশকারী ও হাব্রিড মুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন বাস্তবায়ন পরিষদের সদস্য সচিকব ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি মো: ইসমাইল হোসেন।

মেহেরপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বইয়ের ২৫২ পৃষ্ঠাই ৭নং তালিকায় নাম আছে তাদের কি মেহেরপুর জেলায় রাজাকারের তালিকায় কোন নাম আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আমাদের জানামতে ১ নম্বর তালিকায় তাদের নাম ছিল। সে তালিকা সরকারিভাবে প্রাথমিকভাবে করা হয়েছিল। কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি কারণে স্থগিত করেছে।তবে যেহেতু একটি রাজাকারের তালিকা ত্রুটি মুক্ত না হলেও,সারা বাংলাদেশে আমাদের একটা দাবি আছে। আমাদের সংগঠনের দাবী সারা বাংলাদেশে নতুন করে আবার রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সেই তালিকা প্রকাশের পর জাতি এই বিভ্রান্তি দূর হবে। তবে প্রশ্নের সদুত্তর পাওয়া যায়নি…..?রাজপথে নামার বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে উত্তরে তারা জানান, রাজপথে নামার অংশ হিসেবেই এই সংবাদ সম্মেলন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন রাজাকার অনুপ্রবেশকারী ও হাব্রিড মুক্ত আওয়ামী লীগ গঠন বাস্তবায়ন পরিষদের অহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ, মেহেরপুর কৃষক লীগের সাধারন সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, গাংনী উপজেলা যুবলীগের মোশারফ হোসেন প্রমুখ।

আপনার মতামত লিখুন :