মেহেরপুরে দীর্ঘদিন পরে স্কুল খুললেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। বাল্য বিয়ের ফাঁদে অনেকেই

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:34 AM, 22 September 2021

মেহেরপুরে করোনা পরিস্থি’তির কারনে দীর্ঘ ১৮ মাস পর স্কুল খুললেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা গেছে। সরকারী সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ১২১ সেপ্টেম্বর ১৯টি শর্ত মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি গড়ে শতকরা ৭০ ভাগ বলে প্রধান শিক্ষক মহোদয়দের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে।সিদ্ধান্ত মোবাবেক পিইসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সপ্তাহে ছুটির দিন ব্যতিত প্রতিদিন। অন্যদিকে ১ম , ২য় , ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি সপ্তাহে ১ দিন করে ্এবং ৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে ১ দিন করে।স্বাস্থ্য বিধি মেসে সামাজিক দুরত্ম বজায় রেখে এবং মাস্ক পরে ক্লাস নেয়া হচ্ছে।

সে মোতাবেক উপজেলার গাঁড়াডোব, জুগিন্দা ,বাঁশবাড়ীয়া ও সিএফএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী যথাক্রমে গাঁড়াডোবের শিক্ষাথীর্র সংখ্যা (রেজিষ্টার অনুযায়ী) ৪৩৮ জন । এর মধ্যে উপস্থিতি হিসাবে ৭২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাওয়া গেছে। এমনিকরে জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৫ শতাধিক। এর মধ্যে উপস্থিতির সংখ্যা ৮০ শতাংশ। যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা অনুপ¯ি’ত রয়েছে তাদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা বেশী। অন্যদিকে ১৪-১৫ জন ছাত্রীর (৮ম-১০ম শ্রেণির ছাত্রী বিশেষ করে পরীক্ষার্থী)বাল্য বিবাহ জনিত কারনে অনুপস্থিত রয়েছে। একই রকম তথ্য পাওয়া গেছে সিএফএম ও বাঁশবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের তথ্যানুযায়ী ৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুমানিক ৪ শ’ ছাত্রীর গোপনে বাল্য বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে।

গাঁড়াডোব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মিয়ানুর রহমান জানান,হঠাৎ করে স্কুল খোলা হয়েছে। দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় অনেক নি¤œ আয়ের পরিবারের ছেলেরা (রাজ মিস্ত্রীর যোগালে, মটর সাইকেল মেকানিক শোরুমে সেলসম্যান,ভ্যানচালক) নানা কাজে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছে।তবে আমরা আশাবাদী অল্প দিনেই সকল ছেলেমেয়ে স্কুলে আসবে।একই ভাবে জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম জানান, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেকটাই কম। নানা কাজে বাবাকে সহযোগিতায় কর্মরত রয়েছে।এছাড়া বেশ কয়েকজন ছাত্রী বাল্য বিয়ে হওয়ার কারনে স্কুলে অনুপস্থিত রয়েছে। একইকথা জানালেন, সিএফএম ও বাঁশবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল হেলাল ও আলীমুজ্জামান।তবে প্রধান শিক্ষকগণ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে উপস্থিতি বেশী হবে।

আপনার মতামত লিখুন :