প্রাক্তন স্বামীর মামলায় স্ত্রী বেখুসুর খালাস ; স্বামী গ্রেপ্তার

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:07 PM, 31 October 2022

প্রাক্তন স্বামী কাউসারের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় তার প্রাক্তন স্ত্রী শ্যামলী খাতুন আদালত থেকে বেখুসুর খালাস পাওয়ার দিন মামলার আসামি শ্যামলীর প্রাক্তন স্বামী কাউসার মাদক মামলায় গ্রেপ্তার ।

সোমবার দুপুরের দিকে আদালত যখন শ্যামলীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন ঠিক পরক্ষণে শ্যামলের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার বাদী কাউসারকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে তাকে গাংনী থানা পুলিশ তাকে আটক করেন।

শ্যামলী খাতুন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধানখোলা গ্রামের জমির উদ্দিন এর মেয়ে। এবং মীর কাওছার একই উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের মৃত্যু মীর ওমর ফারুকের ছেলে।

মামলার বিবরণী জানা গেছে বাহগুন্দা গ্রামের বাসিন্দা ঐ এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মীর কাওসার আলী তার ঘরে স্ত্রী সন্তান থাকা সত্ত্বেও মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে শ্যামলীকে বিয়ে করেন বিয়ের পর মাত্র একদিনের জন্য শ্যামলী তার স্বামী কাউসারের বাড়িতে যান। প্রথম দিনেই শ্যামলী জানতে পারেন তার ঘরে স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছে। এবং মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদকের ১৭ টি মামলা রয়েছে। পরদিন সকালে শ্যামলী খাতুন তার স্বামীর বাড়ি থেকে নিজ গ্রামে চলে যান। পরে শ্যামলী খাতুন স্বেচ্ছায় তার স্বামীকে তালাক দেন।

এদিকে শ্যামলী খাতুন কাওসারকে তালাক দেওয়ার পর কাউসার ক্ষিপ্ত হয়ে শ্যামলী ও তার পরিবারের নামে বিভিন্ন বিভিন্ন ধরনের মামলা করেন। প্রত্যেকটি মামলায় শ্যামলী খালাস পাওয়ার পর শেষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে টাকা ও গহনা চুরির মামলা আদায় করেন। যার মামলা নং-৩১৬/২০। মামলাটি তদন্তের জন্য দেওয়া হয় গাংনী থানার এস আই নুরুল ইসলামকে। নুরুল ইসলাম তদন্ত শেষে শ্যামলীর বিরুদ্ধে চার্জসিট দাখিল করেন। ওই মামলায় মোট ৩ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে আসামীর শ্যামলীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় সোমবার দুপুরের দিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বর্ণালী তাকে বেকসুর খালাস দেন।

এদিকে শ্যামলী ওই মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর বেরিয়ে আসার পরপরই আগের দিন মাদক মামলায় আটক মীর কাওছার আলীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ধানখোলা ইউনিয়নের একাধিক গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন, মাদক ব্যবসায়ী মীর কাউসার মাদক সেবনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকের ব্যবসা করে আসছে। তার কারণে এলাকায় উঠতি যুবকরাও মাদকের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। বর্তমানে মীর কাওছারের বিরুদ্ধে মেহেরপুর ও গাংনী থানায় মাদকের ১৭ টি মামলা চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে। একাধিক মামলায় তার সাজাও হয়েছে। সাজাখেটে বাড়ি ফেরার পর আবারো মাদক ব্যবসায় শুরু করে।

আপনার মতামত লিখুন :