গাংনীর তেঁতুলবাড়ীয়া যুবলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রেস ব্রিফিং

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  05:40 PM, 01 February 2021

মিথ্যা হয়রানি ও চাাঁদাবাজির প্রতিকার চেয়ে বামুন্দি ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মকবুল হোসেন, আর ওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ সহ কয়েক জন পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে মামলা করে বিপাকে পড়েছেন মেহেরপুর তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধান সম্পাদক মো: আব্দুল হান্নান।

তিনি প্রধান মন্ত্রী সহ প্রশাসনিক সাহায়্য চেয়ে প্রেসবিফিং করেছেন। আজ সোমবার দুপুর ১ টায় মেহেরপুর রিপোর্টার্স ক্লাব মিলনায়তনে তিনি এ সাংবাদিক সম্মেন করেন।

সংবাদিক সম্মেলনে আব্দুল হান্নান লিখিত বক্তব্যে বলেন, বামুন্দি ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই মকবুল হোসেন, আর ওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ সহ আরো কয়েকজন প্রশাসনিক সদস্য মিলে ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী রাত্রে মফিজুলের চায়ের দোকা থেকে আমাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।

এসময় কিছু দুর মাইক্রো করে নিয়ে যেয়ে খোলা মাঠের মধ্যে চোঁখ বেঁধে নামায় আমাকে। চোঁখ বাঁধা অবস্থায় আমাকে বেধড়ক মারপিট করে আর ওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ। এসময় আমার কাছে থাকা ব্যবসার ৮৩ হাজার টাকা এস আই মকবুল ছিনিয়ে নেয়। আরো ১২ লক্ষ টাকা দাবি করে।

আমি দিতে অপারগতা জানালে আমাকে আরওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ গুলি করে মেরে ফেলতে চায়। কিন্তু এসময় আরওয়ান মোস্তফার মোবাইলে একটি ফোন আসে। তিনি মোবাইলে কথা বলেন। তার পর ফেনটি আমাকে দেয়। ফোনের অপর প্রান্ত আমার কাছে রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চায়। আমি যুবলীগের পরিচয় দেবার পর ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলে বেঁচে গেলি এখন জেলে যা।

এর পর ঐ রাত্রে আমাকে থানায় হস্তান্তর করে।আমাকে ছেড়ে দেবার কথা বলে আর ওয়ান মোস্তফা আমার পরিবারের কাছে থেকে ৫ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু তারা আমাকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় চালান করে। যার মামলা নং মেহেরপুর জি আর ৩১৮/১৮, ৩১৯/১৮।

আমি দীর্ঘ দিন কারা ভোগের পর জেল থেকে বেরিয়ে বাংলাদেশ মানবধিকার সংস্থার মাধ্যমে মামলার সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে প্রধান মন্ত্রী সহ প্রশাসনের উচ্চ মহলে আবেদন করি। সেই সাথে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে এসআই মকবুল হোসেন, আর ওয়ান মোস্তফা আহম্মেদসহ কয়েক জনকে আসামী করে মেহেরপুর কোটে সিআর মামলা করি।

যার মামলা নং ২০৭/১৯। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তধিন। আমি এ মামলা করার পর থেকে এসআই মকবুল হোসেন, আর ওয়ান মোস্তফা আহম্মেদ আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় ভিত্তি প্রদর্শন করছে। তারা আমাকে নতুন নতুন মামলায় ফাসিয়ে দিচ্ছে। সর্বশেষ গত ২ ডিসেম্বর আমাকে একটি জিআর মামলার আসামি করাহয়েছে।

আমি সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সহ প্রশাসনের উচ্চ মহলের কাছে আবেদন জানাচ্ছি সঠিক তদ›ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য

আপনার মতামত লিখুন :