গাংনীতে এসিল্যান্ডের নাম করে চাঁদার দাবি, চাঁদাবাজকে মুঠোফোনে কথা বলে দিলেন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:57 PM, 04 April 2022

রাব্বি আহমেদঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) নাজমুল আলম এর পরিচয় দিয়ে উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মশিউর রহমানের ব্যবহৃত “”০১৭১৮-৬৯০৯৫২“” নাম্বারে ফোন দিয়ে এসিল্যান্ড পরিচয় দিয়ে গাংনী শহরের বেশ কয়েকটি দোকানদারের কাছে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবে বলে অর্থ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার এ ঘটনা ঘটে।

মালেক মিষ্টান্ন ভান্ডার এর স্বত্বাধিকারী আব্দুল মালেক জানান, আজ সকাল ১১:৫০ মিনিটে গাংনী উপজেলার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান এসে তাঁর মুঠোফোন থেকে একজনের সাথে ফোনে কথা বলে দিয়ে বলেন আমি গাংনীর এসিল্যান্ড বলছি। আপনার দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত করা হবে আপনার মোবাইল নম্বরটা দেন। আমি ভয়ে আমার মুঠোফোনটা দিয়েছি পরে “০১৯২৩-৮৯১৬১৭” নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে ৫০ হাজার টাকা বিকাশ করে দেন। টাকা না দিলে, দোকান সিলগালা করে দেব।পরে আমি বাধ্য হয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুল আলম এর শরনাপন্ন হয়েছি।

গাংনী সুইচ এর স্বত্বাধিকারী শাহজাহান জানান, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আমার দোকানে এসে বলেন এসিল্যান্ড স্যার কথা বলবে। তখন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর এর মোবাইল ফোনটি আমি নিয়ে কথা বলি তখন তিনি আমার কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন।পরে “০১৯৩৩-২১২১২০” নাম্বারে দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা বিকাশ করতে বলে। আমি টাকা না দিয়ে গাংনীর ইসলাম সাহেব কে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করি। এসিল্যান্ড সাহেব আশ্বস্ত করে বলেন, এটি প্রতারকচক্র এমন করছে দয়াকরে আপনারা কেউ টাকা দেবেন না।

গাংনী উপজেলার স্যানিটারী ইন্সপেক্টর মশিউর রহমান জানান, আমার ব্যবহৃত “০১৭১৮-৬৯০৯৫২” নাম্বারে “০১৯৩৩-২১২১২০” নাম্বার থেকে ফোন এসে বলেন আমি গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশনার নাজমুল আলম সাহেব বলছি।উপজেলার বিভিন্ন দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে তাই আপনি তাদের সাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাকে মুঠোফোনে কথা বলিয়ে দেন। তবে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি মনে করি স্যার ব্যক্তিগত মুঠোফোন থেকে ফোন দিয়ে এগুলো বলেছেন তাই বাধ্য হয়ে বেশ কয়েকজনের সাথে কথা বলিয়ে দিয়েছি। যে নাম্বারগুলো থেকে আপনাকে ফোন দেয়া হয়েছে,এই নাম্বার গুলো কার,এমন প্রশ্নে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি)নাজমুল আলম জানান, যদি ভ্রাম্যমাণ আদালত করতেই হয় তাহলে কেন দোকানদারের সাথে কথা বলতে চাইব। একটি প্রতারক চক্র এমনটি করছে। স্যানিটারী ইন্সপেক্টর কে বলা হয়েছে একটি থানায় লিখিত অভিযোগ করে নাম্বার ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার জন্য।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান,স্যানিটারী ইন্সপেক্টর এসেছেন জিডি করতে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর চাঁদাবাজদের খুঁজে বের করা হবে।

উল্লেখ্যঃ ইন্সপেক্টর মশিউর রহমানের মুঠোফোন থেকে মালেক মালেক মিষ্টান্ন ভান্ডার,গাংনী সুইট,আমিন মিষ্টান্ন ভান্ডার,সামাদ হোটেল,সোবান হোটেল সহ বেশ কয়েকজন এই প্রতারক এর সাথে কথা বলিয়ে দিয়েছিলেন। গত কয়েক মাস আগেও গাংনী উপজেলার বামন্দিতে এইরকম প্রতারকের খপ্পরে পড়ে অনেক ব্যবসায়ী টাকা দিয়েছিলেন। বামন্দীর ওই ঘটনায় এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে সেই চাঁদাবাজরা।

আপনার মতামত লিখুন :