গাংনীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৫

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  01:14 PM, 04 October 2021

মেহেরপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ৫ জন।
আহতরা হলো ওই গ্রামের ইউপি সদস্য সাহাবুদ্দীন আহম্মেদ, বামন্দী গ্রামের বুলবুল হোসেনের ছেলে কনক, বাওট গ্রামের মন্টু মিয়ার ছেলে এখলাছ হোসেন, এখলাছের বাবা মন্টু মিয়া, মা বুলুয়ারা খাতুন।
আহত এখলাছ হোসেন ও সাহাবুদ্দীন মেম্বারকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।

এখলাছের বাবা মন্টু মিয়া জানান, সাহাবু্দ্দীন মেম্বার তার লোকজন সাথে করে নিয়ে রাত সাড়ে ১১ টার দিকে আমার বাড়িতে হামলা করে। এ সময় আমার ছেলেকে বেদড়ক মারধর করে। এ সময় আমরা ঠেকাতে গেলে আমাদেরকেও মারধর করে। কী কারনে আমার ছেলেকে এভাবে মারধর করা হল তা তদন্ত করে অপরাধীদের বিচার দাবী করছি।

এ ব্যাপারে সাহাবুদ্দীন মেম্বার বলেন, রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ভুটির দোকান বাজারে আমার কর্মী আব্দুস সামাদ ও রমজান আলীকে হুমকি দেয় এখলাছ আলী। সে আমার কর্মীদের বলে এ পাড়ায় ভোট চাইতে আসবি না। আর এলে ঢেঙ্গ ঠুঙ্গ ভেঙ্গে দেব।
পরে বিষয়টি জানার জন্য আমি ও আমার লোকজন রাত ১১ টার দিকে এখলাছের বাড়িতে গেলে সে ঘর থেকে লোহার এঙ্গেল দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত করে। পরে আমার সাথে থাকা লোকজন এখলাছকে শান্ত করে।
সাবেক মেম্বার নিয়ামত আলী জানান, গত বারের নির্বাচনে এখলাছ সাহাবু্দ্দীন মেম্বারের ভোট করেছে। তার কার্যক্রম দেখে এখলাছ তার কাছ থেকে সরে এসেছে। তাই রাগে ক্ষোভে সাহাবুদ্দীন মেম্বার তার লোক জন সাথে করে এখলাছের বাড়িতে গিয়ে অমানবিক ভাবে মারধর করে। এখলাছের বাবা মা ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে তারা। পরে প্রতিবেশীরা এখলাছকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

স্থানীয়রা জনান, সাবেক মেম্বার নিয়ামত আলী ও বর্তমান মেম্বার সাহাবুদ্দীনের মধ্য আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মাঝে মাঝেই তাদের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকার মধ্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। কিছু দিন আগেও বাওট গোরস্থানকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে উভয় পক্ষই সক্রীয় হচ্ছে।
গাংনী থানার ওসি মোঃ বজলুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আপনার মতামত লিখুন :