কই গেলি রে আমার বুকের দুই ধন
বুক চাপড়াচ্ছেন আর দুই ছেলে জাহারুল ও সাহাদুলের জন্য আহাজারি করছেন মা জাহেরা খাতুন। জাহেরা খাতুনের ছয় মেয়ে, ছেলে ওই দুটিই। দুই ছেলেকেই আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে নির্বাচনী সহিংসতায় কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাঁদের লাশ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নেওয়া হয়েছে।
একটার দিকে গাংনী উপজেলার লক্ষ্মীনারায়ণপুর বিল ধলা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, নিহত জাহারুল ও সাহাদুলের মা, বোন ও স্বজনেরা কান্না করছেন। মা জাহেরা খাতুন ডুকরে কাঁদছেন আর বলছেন, ‘আমার বুকের দুই ধন কই গেলিরে…।’ জাহেরা খাতুনের স্বামী সুলতান আলী ফকির এক বছর আগে মারা যান।
বোন জেসমিন আরা জানান, তাঁর বাড়ির সামনেই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। কাথুলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামের ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করছেন তাঁদের ফুফাতো ভাই আজমাইন হোসেন। একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আতিয়ার রহমান নামের একজন। আতিয়ার গাংনী উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আজ সকাল আটটার দিকে আজমাইন গ্রামে বের হলে তাঁর বাড়ির সামনে আতিয়ারের লোকজন হামলা চালান। জেসমিন আরা এ খবর তাঁর দুই ভাই জাহারুল ও সাহাদুলকে বাড়িতে এসে জানান। ফুফাতো ভাই আজমাইনের ওপর হামলার খবর পেয়ে দুই ভাই দ্রুত ঠেকাতে যান। এ সময় বাড়ি থেকে ৫০ গজ দূরে পুকুরপাড়ে আতিয়ারের লোকজনের প্রতিরোধের মুখে পড়েন। এ সময় ওই পুকুরপাড়ের পাশে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে ওইসময় জাহারুল স্ত্রী শেফালী খাতুন আহত হয় এবং পরে তিনিও মৃত্যুবরণ করেন । এ সময় আরও ১০ থেকে ১২ জন গুরুতর আহত হন।
নিহত জাহারুল মাছচাষি এবং স্ত্রী শেফালী খাতুন এবং সাহাদুল কৃষক। জাহারুলের এক ছেলে ও এক মেয়ে। সাহাদুলেরও এক ছেলে ও এক মেয়ে। তাঁদের দুই ভাইয়ের ছেলেরা প্রবাসী।