আপনার একটু সহযোগিতায় বেঁচে যেতে পারে মেহেরপুরের একটি প্রতিবন্ধী পরিবার

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:15 AM, 25 September 2021

ফাহিমার পরিবারের সকলেই প্রতিবন্ধী। স্বামী জালেমান সেও প্রতিবন্ধী। প্রতিবন্ধী হলেও ক্ষুধার তাড়নায় তাকে পরিশ্রম করতে হয়। ফাহিমা ও জালেমানের কোল জুড়ে দুই সন্তান আসে। কিন্তু অভাবের সংসারে কে নেবে খোঁজ। আত্মীয় স্বজন তাদেরও অবস্থাও ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’ এমন।
স্বামী জালেমানের পাশা পাশি ফাহিমাও পাড়া পাড়ায় কাজ করে সংসারের ব্যয়ভার কিছুটা হলেও মিটাতে পারতেন। কিন্ত হঠাৎ করে একটি রোগ তার শরীরে বাসা বাঁধে এখন সেটি মরন রোগে রুপ নেবে যদি সময় মতো চিকিৎসা না দেওয়া হয়।

মেহেরপুর সদর উপজেলার রাইপুর গ্রামের দুই সন্তানের জননী ফাহিমা এমনটি জানালেন সাংবাদিকদের কাছে।

ফাহিমা বলেন অনেক আগে থেকেই অসুবিধা হতো গত দুই মাস আগে বেশি হওয়ায় স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন তাতে নিরাময় না হয়ে বরং আরও বেশি হয়। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় তিনি রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। ওখানকার চিকিৎসক বলেন, তার গলায় টিউমার হয়েছে অনেক আগেই। বর্তমানে তার অবস্থা অনেক খারাপ । আগামী দু’মাসের মধ্যে অপারেশন না করলে টিউমারটি ফেটে যেতে পারে। আর টিউমার ফেটে গেলে ফাহিমার মৃত্যু ঘটতে পারে। এমতাবস্থায় দরিদ্র ফাহিমার পক্ষে চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। কারণ তার চিকিৎসার জন্য ২ লক্ষ টাকার দরকার বলে চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে এই রোগের পর ফাহিমা ঠিক মতো কাজও করতে পারেননা। ফাহিমার স্বামী জালেমান মানসিক প্রতিবন্ধী হলেও তিনি ইটের ভাটা ও কচু তোলার কাজ করেন।বর্তমানে মৌসুম না থাকায় তিনিও বেকার। ঘরে দুটি সন্তান বড় মেয়ে সাত বছর বয়সি মানুয়ারা সে মেহেরপুরের একটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। ছোট ছেলে হুসাইনের বয়স ৫ বছর।
সহযোগিতার জন্য স্থানীয় মেম্বরের কাছে জানালে তিনি সময় নাই বলে ফিরিয়ে দেন। তবে ঐ গ্রামের মসজিদের ইমাম তাকে ২ হাজার টাকা দিয়ে আপাতত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন।
পরে ফাহিমা আমদহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আনারুল ইসলামের কাছে গেলে তিনিও ফিরিয়ে দেন বলে জানান।
সমাজ সেবা কার্যালয়েও গেছেন ওখানেও তাকে ভিক্ষুক ভেবে ১০টাকা হাতে ধরিয়ে দিয়ে বিদায় করে দেয়।
বর্তমানে ফাহিমা ও জালেমান চিকিৎসার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। তিনি সকলের প্রতি মানবাতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

রাইপুর গ্রামের লোকজনও ফাহিমাদের বিভিন্ন সময় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয়রাও সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন ফাহিমার প্রতি মানবতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
ফাহিমাকে যদি কেউ সহায়তা করতে চান তাহলে তার প্রতিবেশি লিটন এর বিকাশ নং সাহায্য পাঠাতে পারেন। তার বিকাশ নং- ০১৯৫১ ২৬৮ ২৫৪ পারসোনাল।
ফাহিমা আকুতি জানিয়েছেন সকলের একটু একটু সহযোগিতায় আল্লাহ্র ইচ্ছায় তিনি বেঁচে যেতে পারেন।

আপনার মতামত লিখুন :