অভিমানের ঘুড়ির সুতো ধরে যতই টানাটানি করি না কেন,আমাদের অবস্থান এই মাটিতেই…..
একমাস হয়ে গেলো ফেসবুকে কোনো পোস্ট দিই নাই, এখন ফেসবুক খুললেই মৃত্যুর সংবাদ ভেসে আসছে,কষ্ট পেতে হবে সে ভয়ে ফেসবুক দেখিও কম। হারিয়ে যাচ্ছে কত প্রিয়জন,হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন অনেক স্বজন। আইসিইউতে আছেন আমার কয়েকজন আত্মীয়,স্বজন সুহৃদ।
আইসিইউ কত কষ্টের তা আমি জানি(১৮ দিন ছিলাম)। বলা যায় মৃত্যুর সিড়ি! অদৃশ্য ভাইরাসে দেশ অস্থির। অজানা আতংক। কার ভাগ্যে কি লেখা আছে কেউ জানিনা।
এর মাঝেও প্রতিদিন খবরের কাগজে ছাপা হচ্ছে নানা হ্রদয় বিদারক খবর(খুন,নারী নির্যাতন,সড়কে প্রাণ ঝরছে,ইত্যাদি) । পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে ভাই-বোনদের মাঝে বিবাদ, একে অপরকে ঠকানোর সুযোগ খুঁজছে। পিতা-মাতাকে কষ্ট দিচ্ছে, নিজেও একদিন পিতা-মাতা হবে তা অনুভব করছে না।
সামান্য স্বার্থে রক্তের সম্পর্কে টানাপোড়েন, যার যার অবস্থানকে সঠিক মনে করছে। ছাড় দেয়া মানষিকতা উধাও। মনে হচ্ছে “রক্তের সম্পর্কগুলো পানির থেকেও পাতলা হয়ে গেছে”। মৃত বাবা-মায়ের জন্য দোয়া বড় নয়,রেখে যাওয়া সম্পদই বড়। অভিমান আমাদের অনেককে পৃথক করে রেখেছে।
মানুষের মাঝে মিশে থাকা,মানুষের জন্য কাজ করা,আবার তাঁদের নিয়ে খুনসুটি করার মানুষটি কখনও কি নিভৃতচারী থাকতে পারে? তা অনেক কষ্টেরও বটে। “অভিমানের ঘুড়ির সুতো ধরে যতই টানাটানি করি না কেন,আমাদের অবস্থান এই মাটিতে বড্ড কাছাকাছি,পাশাপাশি। শেষাংশে বলি করোনার এই ক্রান্তিলগ্নে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি,আমার উদাসিনতা কারনে কেউ সংক্রমণ হলে তার দায় আমারই হওয়া উচিত।