গাংনী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক খোকন দেওয়ানের উপর হামলার
মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক খোকন দেওয়ানের (৬০) উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার সন্ধ্যায় গাংনী সিদ্দিকীয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত খোকন দেওয়ানকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কুষ্টিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
আব্দুল খালেক খোকন দেওয়ান গাংনী ভিটাপাড়ার মৃত রমজান আলী দেওয়ানের ছেলে।
গাংনী হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, খোকন দেওয়ানের মাথায় গুরুতর আঘাতের জেরে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, মাথার ভেতরেও রক্তক্ষরণ হতে পারে । তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আহতের ছেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহবায়ক আরিফুল ইসলাম সোবাহান জানান, গাংনী সিদ্দিকীয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এর পাশে ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী মকছেদ আলীর নির্বাচনী ক্যাস্পে কয়েকজন বসে ছিলেন। সেখানে নৌকার বিরুদ্ধে তারা কটাক্ষ করছিল। এর প্রতিবাদ জানান আমার পিতা। এতে শুরু হয় বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর প্রার্থী মকছেদ আলী ও তার কর্মী মানজেত আলী, মুকুল হোসেন ও জাম্বু মিয়া লোহার রড এবং লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করে। মাথায় গুরুতর আঘাতে রক্তাত্ব জখম অবস্থায় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান আব্দুস সোবহান।
হামলার খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের একাধিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাংনী হাসপাতালে রোগীর খোঁজ নেয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান।
এদিকে খোকন দেওয়ানের শারীরিক খোঁজ নিতে গাংনী হাসপাতালে ছুটে যান জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহম্মেদ আলী, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবুসহ নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক সাংবাদিকদের বলেন, মারধরের শিকার হয়েছেন এবং তার মাথা ফাটানো হয়েছে এটা সত্যি। তবে কি বিষয় নিয়ে এ ঘটনা তা খতিয়ে দেখে পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।