গাংনীতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামী পেডি গ্রেপ্তার

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:58 PM, 27 February 2024

দৈনিক বণিক বার্তার সাবেক সহকারী বিজ্ঞাপণ ম্যানেজার ও মেহেরপুরের গাংনীর মালসাদহ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম কাউসার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী আবু সাদাত ফয়সাল ওরফে প্যাডিকে (৪১) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাতে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম র‌্যাব—২ শেরেবাংলানগর ক্যাম্পের সহায়তায় তাকে তুরাগ থানাধিন বাউনিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
আবু সাদাত ফয়সাল ওরফে প্যাডি গাংনী উপজেলার মালসাদহ গ্রামের মৃত মাহাতাব উদ্দীনের ছেলে। তাকে মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্যাডির নামে খাগড়াছড়ি জেলায় একটি হত্যা মামলা ও অস্ত্র গুলি ও বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে গাংনী থানাসহ অন্যান্য থানায় আরো ৬ টি মামলায় গ্রেফতারী পরওয়ানা রয়েছে। সে গাংনী থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম কাউসার প্রথম আলোর বিজ্ঞাপন এক্সিকিউটিভ ছিলেন। ২০১৫ সালের শুরু দিকে তিন বণিক বার্তায় সহকারি বিজ্ঞাপন ম্যানেজার হিসেবে জয়েন করেন। পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন ঢাকায়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর বাসা থেকে অফিসের উদ্দেশ্যে বের হয়ে নিখেঁাজ হন। তিন দিন পর খিলক্ষেত এলাকার নামাপাড়া বোর্ডঘাট এলাকার একটি বাসায় স্যুটকেস ভর্তি অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় প্যাডি ও তার সহযোগি রাইহান, নাজমুল হাসান রাকিব ও ফয়সাল ফাহিম নামের ৪ জনকে আসামী করে খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন জাহাঙ্গীর হোসেন কাউসারের স্ত্রী রোক্সানা। যার মামলা নং— ১৬, তাং ১৮—৯—১৫ ইং। প্যাডির কাছে পাওয়না টাকা লেনদেনকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়। পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। পরে ঢাকা মেট্রোপলিন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ২০১৮ সালে প্রধান আসামী আবু সাদাত মোঃ ফয়সাল ওরফে প্যাডিকে মৃত্যুদন্ড ও অন্যান্য আসামীদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন।
গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, জাহাঙ্গীর আলম কাউছার হত্যা মামলায় জামিনের পর থেকে প্যাডি ছিল আত্মগোপনে। এ মামলায় রায় ঘোষণা হলেও সে আত্মগোপনেই ছিল। সে ঢাকার বাউনিয়া এলাকায় রুবেল নামে পরিচিত হয়ে বসবাস করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে এসআই জহির রায়হান ও র‌্যাবের সহায়তা তাকে গ্রেফতার করে গাংনী থানায় নিয়ে আসে।

আপনার মতামত লিখুন :