১৮০ দিনের কাজ শেষ হয়নি তিন বছরে, রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:20 PM, 28 August 2023

মেহেরপুর সদর উপজেলার রায়পুর গ্রামে খন্দকার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ কাজ তিন বছরের শেষ হয়নি। বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষাথী ও শিক্ষকদের জরজির্ণ টিনের ছাপড়ায় প্রচন্ড গরম আর বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাশ করছে।
২০১৯-২০ অর্থ বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলরি অধিনে পিইডিপি – ফোর প্রকোল্পের আওতায় মেহেরপুর সদর উপজেলার খন্দকার পাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা বিশিষ্ট ভবন নিমার্ণের ব্যায় ধরা হয় ১২ কোটি ২৩ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা। টেন্ডারে এই ভবন নিমার্ণের কাজ পায় মেসার্স আখিল ট্রেডাস। ২০২১ সালের মাঝা মাঝিতে ভবন নিমাণের কাজ শুরু করেন। ১ শ ৮০ দিনের মধ্যে এই কাজ শেষ করার কথা। কাজের তাগিদা দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হুমকী ধামকি শুনতে হয় বলে অভিযোগ স্কুল কর্তৃপক্ষের। তিনটি সেমি পাকা টিনের ঘরে প্রচন্ড তাপদাহ সহ্য করে ও বৃষ্টিতে ভিজে ক্লাস করতে হচ্ছে শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের । বৃষ্টিতে শিক্ষার্থীদের বই খাতাসহ বিদ্যালয়ের প্রযোজনীয় কাগজপত্র ও শিক্ষা উপকরণ ভিজে নষ্ট হচ্ছে। এ কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে ছেড়ে অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দাবি আল্প দিনে কাজ শেষ হবে। স্থানীয় এলাকাবাসী বিদ্যালয় ভবনটি দ্রæত শেষ করা দাবি জানিয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিদ্যুৎ চলে গেলে গরমে ক্লাসে থাকা যায়না। বর্ষায় টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে বই খাতা ভিজে যায়। ঘরে সাপ পেকা মাকড় উঠে আমাদের খুব ভয় লাগে।
সহকারি শিক্ষক সামসুন নাহার জানান, মাথার ওপর টিনের চাল। চালের টিনও ব্যবহার অযোগ্য। ছোট ছোঠ শিক্ষার্থীদের প্রচন্ড গরমে কস্টে ক্লাস করতে হচ্ছে। প্রায়সময় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ক্লাস নিতে বাধা গ্রস্থ হতে হচ্ছে আমাদের।
প্রধান শিক্ষক এহতে শামুল হক বলেন, স্কুল বিলডিং এর কাজ শুরু হয়েছে ২০২০ সালে ১৮০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হবার কথা। এখন ২০২৩ সালও শেষের দিকে এসেও কাজ শেষ হয়নি । বার বার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বিষয়টি জানিয়েও কোন সুরুহা পাইনি।
ঠিকাদার, মেসার্স আখিল ট্রেডার্স এর স্বত্বাধিকারি ফারুক হোসেন বলেন, রডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইচ্ছা করে কাজ বন্ধ রেখেছি।
মেহেরপুর সদর উপজেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলি মোঃ শাহিন আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। দ্রুত বিদ্যালয়্য ভবন হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত লিখুন :