হজে গিয়ে ভিক্ষা : ঢাকায় গ্রেপ্তার গাংনীর সেই মতিয়ার কারাগারে

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:51 PM, 02 August 2022

বেসরকারিভাবে হজে গিয়ে সৌদিতে ভিক্ষুক করা সেই মতিয়ার রহমান ওরফে মিন্টুকে ঢাকার বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শুক্রবার হজ শেষে ফেরার সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে ৫৪ ধারায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্টুকে হাজির করা হয়। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ জাফর হোসেন গাংনীর চোখ’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মতিয়ার রহমান ওরফে মিন্টু মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সিন্দুরকোটা গ্রামের  মৃত হুরুন-আর-রশিদ এর ছেলে।

ডিসি জাফর বলেন, ‘গত ৩০ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালতে করা জিডি অনুযায়ী ৫৪ ধারায় মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর আচরণে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে প্রতিবেদন আনা হয়েছে।’

৫৪ ধারার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি গত ১৮ জুন ধানসিঁড়ি ট্রাভেলসের মাধ্যমে হজে সৌদিআরব যান। এরপরে হজ না করে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন। ভিক্ষাবৃত্তির খবর পেয়ে মদিনা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপরে হজ পুলিশের এজেন্সির মাধ্যমে জামিনে মুক্তি পান। বিষয়টি দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়। এতে দেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হয়।

জানা গেছে, মিন্টুকে গত শনিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সিএমএম আদালত। এ মামলায় ওই দিন জামিনের আবেদন করেন ঢাকা বারের আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ।

আবুল কালাম আজাদের অ্যাসোসিয়টের সদস্য কামরুজ্জামান সুমন গাংনীর চোখ’কে বলেন, ‘আসামির দুই হাত নেই। তবে, তার বেশ কয়েকটি বাড়ি রয়েছে। আসামির আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে এসব জানা গেছে।

উল্লেখ্যঃ ধানসিঁড়ি ট্রাভেল এজেন্সি এর মাধ্যমে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যান।গত ২২-জুন হজ পালনের সময় মদিনায় ভিক্ষাবৃত্তি করার সময় সৌদি পুলিশের হাতে আটক হন।

এলাকাবাসীরা জানান,মতিয়ার রহমান ছাত্রাবস্থায় ডানপিটে ছিলেন। কুষ্টিয়াতে পড়ালেখা করার সময় গাংনীর একটি সন্ত্রাসী বাহিনীতে যোগ দেন। বোমা প্রস্তুতের সময় তা বিস্ফোরিত হয়ে দুই হাতের কব্জি উড়ে যায়। তখন থেকে পঙ্গুত্বকে পুঁজি করে নানা অপকর্ম করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তার বিরুদ্ধে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি ও দাঙ্গা-হাঙ্গামার অভিযোগে ২০১০ও ২০১২ সালে গাংনী থানায় দুটি মামলা হয়। কুষ্টিয়া থানায়ও তার নামে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো থেকে ইতোমধ্যে খালাস পেয়েছেন মতিয়ার রহমান মন্টু। তিনি বিভিন্ন দেশে ভিক্ষাবৃত্তি করে ১০-১২ বিঘা সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুন :