স্বর্ণ ব্যবসায়ী জামাই আরাভের বিচার চাইলেন শশুড় কালাম

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  05:18 PM, 22 March 2023

এবার দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভের বিচার চাইলেন তার শশুড় আবুল কালাম। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব পুকুরপাড়ার বাসিন্দা দুবাইয়ের স্বর্ণ ব্যবসায়ী বিতর্কিত চরিত্রের আধিকার আরাব এর শশুর আবুল কালাম বললেন- আমরা তাকে আপন নামেই চিনতাম। জানতাম ঢাকায় আপন জুয়েলার্স এর মালিক সে। এলাকায় যখন আসতো দামী গাড়িতে চড়ে। তার চলাফেরা পোশাক ছিল খুবই বিলাসবহুল। হাতে, গলায় সব সময় ভারী স্বর্ণের শিকল চেইন ব্যবহার করতো।

কিছুদিনের মাথায় শশুড়বাড়ি বেড়াতে এসে আপন মামা শশুড়ের ডিসকোভারী মোটরসাইকেল চুরী করে করে নিয়ে যায়। এর আগে বুঝার উপায় ছিলনা আরাব এতবড় সন্ত্রাসী ও খারাপ প্রকৃতির ছেলে। আরাব আমার মেয়েকে ফুসলিয়ে প্রলোভন দিয়ে বিয়ে করে শুধু মেয়েরই ক্ষতি করেনি, একমাত্র মেয়ে কেয়াকে নিয়ে আমাদেরও স্বপ্ন স্বাদ সব মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। আমি এই আরাবের বিচার চাই।

এসএসসি পাশ করার পর মেয়ে ঢাকায় মেডিকেলে পড়তে যায়। সেখানে একটা মেয়ের মাধ্যমে আরাভের সাথে মেয়ের পরিচয় হয়। দুজনই সুন্দর তাই সম্পর্ক তৈরী হলে আমার অমতেই মেয়ে আরাভকে বিয়ে করে। বিয়ের পর কয়েকরাব আরাভ মেহেরপুর বেড়াতে এসেছে। শহরে শামসুজ্জোহা পার্কের সামনে পশ্চিমের গলিপথে একটা বাড়িতে আরাভ মেয়েকে নিয়ে ৩/৪ মাস ভাড়া বাড়িতে ছিল।

তখন শহরে মেয়েকে একটা পার্লার করে দেবে বলেছিল। তারপর মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় চলে যাওয়ার কিছুদিন পর পুলিশ হত্যা মামলা ঘটনা ঘটলে আরাভ এবং আমার মেয়ে আসামী হয়। তখন আরাভ পলাতক হয়ে যায়। মেয়ে ওই মামলায় গ্রেপ্তার হলে দেড় বছর জেলে থাকার পর জামিনে মুক্তি পায়।

মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরলে আমরা কেয়াকে আরাভের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরামর্শ দিয়ে মেয়েকে বাড়িতে রাখি। তখন আরাভ হুমকী দিয়ে বলে মেয়েকে তার কাছে যেতে না দিলে তাদের খুন করবে। তখন মেয়ে আবার আরাভের কাছে চলে যায়। এখন মেয়ে আরাভকে ছেড়ে মালয়েশিয়া চলে গিয়ে সেখানে দ্বিতীয় বিয়ে করে সংসার করছে।

এই ঘটনার মধ্যদিয়ে আরাভ শুধু আমার মেয়ের জীবনকেই শেষ করেনি আরাভ মেয়েকে আমাদের জীবন থেকেও কেড়ে নিয়েছে। আরাভ এতবড় প্রতারক সেটা আগে জানা ছিল না।

আপনার মতামত লিখুন :