স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়িতে অনশন

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:34 PM, 26 December 2020

স্ত্রী’র সামাজিক মর্যদা পেতে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার মালয়েশিয়া প্রবাসী হালিম(৩০)এর বাড়িতে অনশন করেছেন যশোর কোতোয়ালি থানার দৌলোদিয়া গ্রামের পিয়ার আলীর মেয়ে রেখা সুলতানা(২৫)।বিয়ে করলেও পরবর্তীতে তার খোঁজ খবর না রাখায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়িতে অনশন শুরু করেন ওই তরুণী।

তবে ওই তরুণী অভিযুক্ত হালিমের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্নভাবে গালাগালসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখায় বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত হালিম উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের নুরাল আলীর ছেলে

নির্যাতিতা রেখা সুলতানা জানান, ২০১৯ সালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে আমার সঙ্গে হালিমের পরিচয় হয়। এরপর তার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেম সম্পর্কের ১ মাসের মাথায়, এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবারের লোকজন পরের কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বিলগাথিয়া গ্রামের লাকু হুজুরের মাধ্যমে ৫০হাজার টাকা কাবিনে বিয়ে পড়ানো হয়। পরে বিয়ে রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা থাকলেও হালিমের পরিবার সেই বিয়ে রেজিস্ট্রি না করে আমাকে হালিমের বাসায় ১৪ দিন রাখে। পরে হালিমের বাবা নুরাল আলী আমাকে আমার বাবার বাসা যশোর কোতোয়ালি থানার দৌলোদিয়া গ্রামে রেখে আসে পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন আত্মীয়তার বন্ধনে পোশাক-আশাক দিয়ে তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর থেকে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় তার পরিবারের লোকজন।

হালিমে বাবা নুরাল হক জানান,আমার ছেলের সাথে মোবাইলে প্রেম সম্পর্ক করে সে আমার বাড়িতে চলে আসে। পরবর্তীতে আমরা বুঝিয়ে পরিয়া তার বাড়িতে রেখে আসি। আপনার ছেলের সাথে বিয়ে হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে লাকু হুজুরের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, বেতবাড়ীয়া গ্রামের কিছু লোক আমাকে ৩হাজার টাকা হাতে ধরিয়ে দেয় দিয়ে বলে বিয়ে টা পরিয়ে দেন। আমি তাদের বলেছিলাম যে হতো রেজিস্ট্রি হয়নি আমি বিয়ে পড়াতে পারবো না। পরবর্তীতে তারা বলেন আমরা বাসায় গিয়ে রেজিস্ট্রি করে নেব আপনি বিয়ে টা পরিয়ে দেন এই শর্তে আমই বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছি।পরে কি হয়েছে আমি আর জানিনা।

স্থানীয়রা জানান, মেয়েটির স্বামীর দাবিতে বেশ কয়েকবার হালিমের বাড়িতে এসেছিল আমরা তাকে চিনি এবং দেখেছি। কেন এসেছিল এমন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান,সবার মুখে মুখে শুনেছে হালিম এই মেয়েটির সাথে মোবাইল ফোনে বিয়ে করেছে বিয়ের আগে থেকেই হালিম মালয়েশিয়ায়।

গাংনী থানার ওসি মোঃ বজলুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা,নেই অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্যঃহালিম প্রবাসে থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আপনার মতামত লিখুন :