দক্ষিণ আমেরিকা ও মেক্সিকোর মানবদেহের জন্য পুষ্টিকর শস্যদানা সুপার ফুড চিয়া সিড চাষ করে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছে কৃষক শরিফুল ইসলাম।
মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম সাহারবাটি মাঠে এক বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে চিয়া সিডস চাষ করেছে।
শরিফুল ইসলাম বলেন খাবার গুণের পাশাপাশি পুষ্টি চাহিদা পূরণ করার লক্ষ্যে গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুপার ফুড চিয়া সিড চাষ করতে বলেন। এয় শষ্যে দুধের চেয়ে পঁাচগুণ বেশি ক্যালসিয়াম কমলালেবুর চেয়ে সাতগুণ বেশি ভিটামিন সি পালংশাকের চেয়ে তিনগুণ বেশি আয়রন ও সামুদ্রিক মাছ চেয়ে তিনগুণ বেশি ওমেগ্রা-৩ আছে এই কারণে এই শস্য কে সুপারফুড বলা হয়। দৈনিক এক আউন্স চিয়া বীজ খেলে শতকরা ১৮ ভাগ ক্যালশিয়ামের চাহিদা, ২৭ ভাগ ভিটামিন সি চাহিদা এবং ৩০ ভাগ ওমেগ্রা-৩ চাহিদা পূরণ হতে পারে। যা মানবদেহের ক্ষতিকারক কোলেস্টরল (এলডিল) হ্রাস করে এবং উপকারি এইচডিএল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে চিয়া বীজ।
তিনি আরও বলেন এই শষ্যে কোন রোগ নাই তাই কোন কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। এই শস্য উৎপাদনে খরচ খুব কম বিঘাতে দশ হাজার টাকা মাত্র । দাম পাওয়া যায় ভালো এই শস্য প্রতি কেজির মূল্য এক হাজার টাকা। বিঘাতে ১০০ থেকে ১২০ কেজি শস্য উৎপাদন করা সম্ভব। এই শস্য বীজ থেকে শুরু করে ফসল ঘরে তোলা পর্যন্ত ১০০ থেকে ১২০ দিন লাগে।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছাঃ লাভলী খাতুন বলেন চিয়া সিড পুষ্ঠি চাহিদার পাশাপাশি আমাদের শরিরের রোগ পতিরোধ করে ক্ষমতা বাড়ায়। করোনার কারনে আমাদের শরিরের যে দুর্বলতা সৃষ্ঠি হয়েছে চিয়া সিড নিয়মিত খেলে সে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে । চিয়া সিড ডাইবেটিস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখে। চিয়া সিড চাষে অথিক লাভের সম্ভবনা আছে তাই কৃষকদের চিয়াসিড চাষে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ রাব্বী আহমেদ খালিদ
মোবাইলঃ ০১৭১৯-৩৯৩৩৪৪
ই-মেইল: rabbi.meherpur1@gmail.com