সাংবাদিকতায় শুদ্ধতার চর্চা এবং মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রপতি সেবা পদক ২০২২ পেলেন সফেনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. খান আসাদুজ্জামান

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:16 PM, 12 February 2022

বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপি বাহিনী এবং আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের কল্যাণে বহুমাত্রিক ইতিবাচক ভূমিকার পাশাপাশি সাংবাদিকতায় শুদ্ধতার চর্চা এবং মানবকল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, সফিপুর আনসার একাডেমী, গাজীপুরে আনসার-ভিডিপি প্রণীত রাষ্ট্রপতি সেবা পদক পেয়েছেন সফেনের প্রতিষ্ঠাতা, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার ও ডেইলি বাংলাদেশ ডায়েরির সম্পাদক ও প্রকাশক, কবি, লেখক ও গবেষক বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা ড. খান আসাদুজ্জামান।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিশ্বনন্দিত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার পক্ষে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান এই সম্মাননা পদক হস্তান্তর করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব(জননিরাপত্তা) জনাব মো. আখতার হোসেন এবং বাংলাদেশ আনসার-ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মিজানুর রহমান শামীমসহ আরো অনেকে।

বহুমুখী শিল্পস্রষ্টা বিচক্ষণ ধীমান ব্যক্তিত্ব ড. খান আসাদুজ্জামান একাধারে একজন কবি, কথাশিল্পী, গবেষক, গীতিকার, সুরকার এবং বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের কণ্ঠশিল্পী। ১৯৭৬ সালের ২৫ অক্টোবর বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধীন ঐতিহ্যবাহী ভৈরব নদী সংলগ্ন দোহাজারী গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে স্নাতক ও ১৯৯৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। অতঃপর তিনি ২০০৮ সালে এমফিল (১ম পর্ব) কৃতিত্বের সাথে সম্পন্ন করেন এবং পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর পিএইচডি গবেষণার বিষয়: The poetic values of the songs of Gouriprasanna Majumdar and Pulak Bandyopadhyay. গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রজ্ঞাবান প্রফেসর, বরেণ্য শিক্ষাবিদ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা’র মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকউল্লাহ খান। একই সাথে তিনি অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০১৩ সালে এলএলবি এবং ২০১৫ সালে এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন।

ড. খান আসাদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন সহপাঠী, অগ্রজ ও অনুজদের সাথে নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১ ডিসেম্বর সোসাইটি ফর এনলাইটেনিং নেশন (SOFEN) নামক একটি অরাজনৈতিক শিক্ষা, সংস্কৃতি, গবেষণাধর্মী ও মানবকল্যামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে মানুষ ও মানবতার সেবায় সুদীর্ঘ পঁচিশ বছর যাবৎ নিজেকে নিমগ্ন রেখেছেন, যা তাঁর মানবসেবা ব্রতের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। তিনি জাতীয় পত্রিকা দৈনিক বাংলাদেশ সামাচার, ডেইলি বাংলাদেশ ডায়েরি ও মাসিক অপরাজেয় বাংলাদেশ-এর সম্পাদক ও প্রকাশক। এছাড়াও ড. খান আসাদুজ্জামান SOFEN Innovation Ltd. SOFEN Technologies Ltd. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

বাংলা ভাষায় প্রকাশিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের নানাবিধ প্রেক্ষাপটের আলোকে রচিত একটি বিষয়ভিত্তিক, গবেষণাধর্মী ও তথ্যবহুল ব্যতিক্রমী কাব্যপ্রয়াস “ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের মহাকাব্য” তার এক অনন্য সৃষ্টি । বঙ্গবন্ধুর মতো একজন আপোষহীন নির্ভীক স্বপ্নদ্রষ্টা মহান নেতার সমগ্র জীবনের কথা অর্থাৎ ব্যক্তিজীবন, ছাত্রজীবন, ছাত্র আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচনা, চূড়ান্ত বিজয় অর্জন এবং সোনার বাংলা গড়ার সুস্বপ্নের নানা বিষয়ে এই কবি কাব্য ভাষায় যা তুলে ধরেছেন, তা হাজার পৃষ্ঠায় রচিত কোন বীর মহাবীরের জীবনলেখ্যের চেয়ে কোন অংশেই কম নয়।

“ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের মহাকাব্য” গ্রন্থ নিয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, “বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রেক্ষাপটের উপর ভিত্তি করে রচিত ‘ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের মহাকাব্য’ গ্রন্থটি একটি গবেষণামূলক, তথ্যবহুল ও ব্যতিক্রমধর্মী কাব্যপ্রয়াস। এটি কাব্য জগতের একটি অতুলনীয় সৃষ্টিকর্ম হিসেবে আমাদের বর্তমান ও ভবিষ্যত প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানতে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে। বিষয়ের গভীরতা ও তাৎপর্য এবং আঙ্গিকের শিল্পিত ও নান্দনিক ঐশ্বর্যে বিকশিত এ কাব্যটি একটি অনন্য শিল্পকর্ম হবে বলে আমি মনে করি”। এবং তিনি প্রকাশনার সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

ইতঃপূর্বে প্রকাশিত ড. খান আসাদুজ্জামানের সাম্প্রতিক কালের রোমান্টিক ও জীবনধর্মী মৌলিক কাব্যগ্রন্থ ‘অপত্য প্রশ্রয়’ আশানুরূপভাবে পাঠক সমাজে নন্দিত হয়েছে। সাংবাদিকদের নিয়ে লেখা “সাংবাদিকের সাতকাহন” ও “এ আঁধার কেটে যাবে” নামক কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ স্মরণে তাঁর সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ “বাংলার মাটি ও মানুষের বন্ধু: বঙ্গবন্ধু, শত কবির শত কবিতা”, সংগীত বিষয়ক গ্রন্থ: “গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের নির্বাচিত গীতি সংকলন” এবং “পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত গীতি সংকলন” প্রকাশিতব্য গ্রন্থসমূহের ছাপার কাজ প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :