লিবিয়া পাচরের চক্রে সর্বশান্ত মুজিবনগরের আক্কাস আলী

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  01:48 PM, 07 March 2023

মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলর আক্কাস আলী লিবিয়া থেকে অমানুষিক নির্যার্তিত হয়ে কোন মতে জীবন নিয়ে ফিরে এসে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সাথে পঞ্জা লড়ছে।আক্কাস আলী মুজিবনগর উপজেলাার বাগোয়ান গ্রামের সবুর সেখের ছেলে ।
বিষয়টি মুজিবনগর থানায় লিখিত আভিযোগ করে উল্টো জীবনের নিরপত্তা হিনতায় ভুগছে। প্রতিদিন স্থানীয় প্রভাবশালীরা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে বলে আভিযোগ করেছে আক্কাস আলী।
আক্কাস আলী বলেন, লিবিয়া প্রবাসি বাগোয়ান গ্রামের আনারুলের ছেলে মোঃ আরিফ ও তার ভাই আতিয়ার ভালো চাকরির প্রলোভন দিয়ে বলে লিবিয়া পৌছে ৩লাখ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া লাগবে। তার কথায় রাজি হই। এর ১৫ দিন পর গত ১৬ ডিসেম্বর তারা আমাকে প্রথমে দোবায় নিয়ে এক সপ্তাহ একটি ঘরে আটকে রেখে পরে লিবিয়া নিয়ে যায় । সেখানেও নিয়ে একটি ঘরে আটক রাখে। কয়েক দিন পর মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ভালো আছি বলে জোর করে টাকা পরিশোধের জন্য বাড়িতে ফোন করিয়ে নেয় । বাড়ি থেকে চুক্তি আনুযায়ি ৩ লাখ ৫০হাজার টাকা মোঃ আতিয়ারের দুলাভাই তারানগরের রফিকুল ইসলামকে দেয়। টাকা পাওয়ার পর মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। চাকরি না দিয়ে শুরু হয় নির্যাতন। ৩দিন পর একবার সামান্য খাবার দিতো। আরো টাকার জন্য রড় আর হাতুড়ি দিয়ে নির্যাতন করতো। টাকার জন্য ফোনে আমার পরিবারের সাথে কথা বলতে দিলে নির্যাতনের কথা জানাই। আমার পরিবার রফিকুল ইসলাম ও তার শ^শুর মোঃ লুৎফর ওরফে লোথার কাছে আমার প্রান ভিক্ষা চাই । তারা আরও ১লাখ টাকা ও কোন অভিযোগ করবোনা বলে আপোষনামা লিখে নেয় । গত ১ মার্চ অসুস্থ অবস্থায় দেশে ফিরে বাড়ি আসি। মুজিবনগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। বিচারের পরিবর্তে এখন উল্টো থানা পুলিশ ও স্থানিয় প্রভাবশালীরা আমাকে আভিযোগ তুলে নেবার জন্য চাপ দিচ্ছে।
আক্কাস আলীর স্ত্রী মোছাঃ গিতা খাতুন বলেন, তাদের বার বার স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে বলেছি। এতে দালার রফিকুল আমাকে উল্টো হুমকি দিয়ে বলেন টাকা না দিলে গ্রামের লিবিয়া প্রবাসী স্বপনের মতো আক্কাসেরও মরদেহ হারিয়ে যাবে। সেই ভয়ে আমার বাড়ির জমি বিক্রি করে তাদের টাকা দিয়েছি । যেখানে সই করতে বলেছে সেখানেই সই করেছি । এখন আমরা সহায় সম্বল হীন নি:স্ব। গ্রামবাসীর সাহায্যে কোন রকম বেঁচে আছি।
রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনা সত্য নয়। সে লিবিয়াায় যাবার পর কাজ না করায় তার ফেরার টিকিটের টাকা নিয়ে তাকে ফিরত আনা হয়েছে । তার পরিবার এ বিষয়ে কোন ঝামেলা করবেনা বলে আপোষ নামাও লিখে দিয়েছে।
মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই আরিফুল ইসলাম বলেন আগামী ৭ তারিখ থানায় দুইপক্ষ ও এলাকার গণ্যমান্য বেক্তিকে নিয়ে বসে বিষয়টা মিমাংসা করা হবে।
মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদি রাসেল বলেন এধরনের মামলার বিষয় আমার জানা নেই।

আপনার মতামত লিখুন :