যৌতুক ও নির্যাতন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কারাগারে

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:14 PM, 29 March 2022

স্ত্রী’র দায়ের করা যৌতুক ও নির্যাতন মামলায় ২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রিপন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকালের দিকে মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ তহিদুল ইসলাম তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

রিপন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। রিপনের স্ত্রী গাংনী উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের শেফালির দায়ের করা মামলায় ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই তৎকালীন বিচারক রবিউল হাসান রিপনকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন। সে সময়ে রিপন পলাতক ছিল।

মামলার বিবরণে জানা গেছে রিপনের সাথে রামদেবপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেনের মেয়ে সেফালির সাথে বিয়ে হওয়ার পর এক লক্ষ টাকার যৌতুক গ্রহণ করেন। পরে আরো যৌতুকের দাবি করে। যৌতুকের দাবিতে পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় শেফালির উপর নির্যাতন চালানো হয়। পরে শেফালী বাদী হয়ে ২০১১ সালের ১৩ নভেম্বর ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইনের ১১(গ) ৩০ ধারায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ১১৩/১২।

ওই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই তৎকালীন বিচারক রবিউল হাসান রিপনকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। ও সময় থেকে রিপন পলাতক ছিলেন।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে রিপন মেহেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোঃ তহিদুল ইসলামের কাছে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আপনার মতামত লিখুন :