যুবকের ওপর হামলা: ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  05:10 AM, 23 May 2022

শাহীন আলম লিটনঃকুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রিপন(২৮) নামে প্রতিপক্ষের এক যুবকের ওপর হামলা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগে করা মামলায় ভেড়ামারা উপজেলা যুবজোটের সভাপতি উপজেলার ৪নং চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।

রবিবার (২২ মে) দুপুরে জেষ্ঠ্য বিচারিক আদালতের হাকিম জুয়েল রানার আদালতে জামিনাবেদন করেন এই মামলার এজাহার ভুক্ত ১নং আসামী হিসেবে আত্মসমর্পণ করেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপন। আদালত শুনানী শেষে জামিনাবেদন না মঞ্জুর করেন।

তবে এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপনের স্ত্রী রুমানা হাফিজ শিখা (৪৫) অভিযোগ, “রিপনের ওপর হামলার ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে প্রায় সাড়ে ৫ কিমি দুরত্বে চন্ডিপুরে আমাদের বাড়িতে পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন তপন; অথচ এই মামলার এজাহারকারী উল্লেখ করেছেন ঘটনার সময় হুকুমদাতা হিসেবে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এটা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা বানোয়াট ও মনগড়া অভিযোগ এনে হীন উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন আমার পরিবারকে বিপন্নের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন। আমিও চাই রিপনের উপর হামলার ঘটনাটি সঠিক তদন্তে প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পাক।”

আসামি পক্ষের আইনজীবী তানজিলুর রহামন এনাম জানান,‘দেখুন এটা যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মামলা বলেই এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার সময় ভিকটিমের সাথে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী স্ত্রী ইয়াসমিন খাতুন বাদি না হয়ে তার চাচাত ভাই ওয়াসিম বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন। সে বিষয়টি আমরা আদালতকে অবহিত করে জামিনাবেদন করেছিলাম, ‘আদালত নামঞ্জুর করেছেন।’

উল্লেখ্য, এমাসের ১৬ মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভেড়ামারা রেল স্টেশন সংলগ্ন ঢাকা কোচ কাউন্টার ও সিএনজি স্ট্যান্ডে উপজেলার চাঁদ গ্রাম মসজিদ মোড়ের বাসিন্দা নুরুজ্জামানের ছেলে মো: রিপন বাড়ি ফেরার পথে অটোরিকশার জন্য স্ত্রীসহ অপেক্ষারত অবস্থায় একদল দূর্বৃত্ত রিপনের উপর দেশীয় ধারলো অস্ত্রসহ হামলা চালায়। এ ঘটনায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত জখম ও গুরুতর আহত রিপনকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক রিপনের প্রয়োজনীয় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরিবারের লোকজন দ্রুত আহত রিপনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান এবং সে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় হামলার শিকার আহত রিপনের চাচাতো ভাই মো: ওয়াসিম বাদি হয়ে চেয়ারম্যান আব্দুল হাফিজ তপনসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত বাকীরা হলেন, রেজাউল ইসলাম, ফাহাদ, সায়েম, আব্দুল হামিদ কটা, জনি, ড্যানী, রনি, আজিম ওরফে আকাশ, ইভন আলী, সুবেল, এবং সজিব হোসেন। এদের মধ্যে ৬জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে আদালতে সৌপর্দ করেছে পুলিশ। আদালত গ্রেফতাকৃতদের কারাগারে প্রেরণ করেছেন।

আপনার মতামত লিখুন :