মেহেরপুরে সড়কে শসা ফেলে চাষিদের প্রতিবাদ

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  06:20 PM, 28 April 2022

৫’শ কেজি শসা বিক্রি করে ১ কেজি গোসত কেনার থেকে রাস্তায় ফেলে দেওয়াই ভাল। যখন দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতি তখন শসা কেন এক থেকে দেড় টাকা কেজি হবে। আমরা চাষ করে কি ক্ষতি করেছি ? সামনে ঈদ, গেল বছর পরিবার নিয়ে ঠিকমত ঈদ করতে পারিনি। এবারও আমরা ঈদ করতে পারব না ? আমাদের উপর কেন এই জুলুম ? বাজারে শসার দাম কম থাকায় বৃহস্পতিবার(২৮ এপ্রিল) দুপুরের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে সড়কের উপর শষা ঢেলে প্রতিবাদ করার সময় ভুক্তভোগী চাষী ও রঘুনাথপুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হাসান এসব কথাগুলো বলেন। মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে জেলার সবচেয়ে শসা চাষ করেন কৃষকরা। আমঝুপি ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি অফিসার আশরাফুল ইসলাম জানান, রঘুনাথপুর মাঠে কৃষকরা সবচেয়ে শসার আবাদ বেশি করেন এবং শসার ফলন ভালো হয়েছে। শসা গাছ থেকে একসঙ্গে ওঠায় বাজারে শসার দাম কম। এতে করে বাজারে শসার দাম পাচ্ছে না কৃষকরা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার চার একর শসা আছে দাম কম থাকায় জমি থেকে উত্তোলন করছি না কারণ লেবারের খরচের টাকা উঠছে না। ভুক্তভোগী চাষী মিলন বলেন, শসার আবাদ করতে গিয়ে সারের দাম বেশি, কীটনাশকের দাম বেশি, লেবারের খরচ বেশি সব খরচ করার পর দুই টাকা থেকে আড়াই টাকায় বিক্রি হচ্ছে শসা। চাষীদের দেখার কেউ নাই। কৃষক সাইফুল বলেন, আমরা বার বার কৃষি অফিস কে খবর দেয়ার পরও কোন কৃষি অফিসার আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি এবং কোন খোঁজ-খবর রাখেনি। ক্ষতিগ্রস্থ চাষী মোস্তফা বলেন, ১ বিঘা জমিতে শসা আবাদ করতে খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। সেই শসা বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ৬ হাজার টাকায়, ২৪ হাজার টাকা লস। কিভাবে যে ঋণ শোধ করব তা বুঝতে পারছিনা। তাতে আবার সামনে ঈদ। এলাকার কৃষকদের দাবি সরকার সাহায্যের হাত বাড়ালে নতুন করে ঘুরে দাঁড়াবে কৃষকরা।

 

আপনার মতামত লিখুন :