মেহেরপুরে মৃত রিপনকে ৫ বছর পর জীবিত উদ্ধার

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  03:08 PM, 22 February 2022

খুন গুমের ৫ বছর পর রকিবুজ্জামান রিপনকে জিবিত উদ্ধার করে করেছে পিবিআই। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারিক হাসানের আদালতে আদালতে তাকে হাজির করে। রকিবুজ্জামান রিপন মহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের গোভীপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে।
ঘটনার সুত্রে জানা যায ২০১৪ সালে রকিবুজ্জামান রিপনের সহিত গাংনী হাটবোয়ালি গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে মোছাঃ শ্যামলী খাতুনের সহিত বিয়ে হয় । পারিবারিক অশান্তির কারনে বিয়ের কিছুদিন পর থেকে সে শশুর বাড়ী হাটবোয়ালি গ্রামে বসবাস করতো। এরপর ২০১৭ সালে হটাৎ করে কাউকে কিছু না জানিয়ে রিপন নিরুদ্দেশ হয়। এর পর রিপনের বাবা মনিরুল ইসলাম২০১৮ সালে ১০ ডিসেম্বর সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩৬৪/১০৯ পেনেল কোড ধারায় ছেলের বৌ শ্যামলি খাতুন, বেয়াই আকবর আলী, বিয়ান সুফিরন ও তক্কেল আলীর নামে মামলা করে।
রিপোনের পিতা মনিরুল ইসলাম বলেন, দির্ঘ একবছর আমি আমার সন্তানের কোন খোঁজ খবর পাইনি। এর পর আমার বেয়াই আকবর আলী বিদেশে চলে যায়। এতে আমার সন্দেহ হয় আমার ছেলেকে খুন করে গুম করা হয়েছে। আমি কোটে মামলা করি। কোট বিষয়টি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পিবিআই আমাদের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর ছবি নিয়ে তাকে উদ্ধার করে । তিনি আরো বলেন আমার ছেলের তিনটা বৌ। তবে সে কেন নিখোঁজ হয়ে ছিলোনা আমি জানিনা।
রিপোনের স্ত্রী শ্যামেলী খাতুন বলেন,২০১৬ সালের জানুয়ারী ৯ তারিখে আমাদের বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর থেকে সে আমাকে নিয়ে আমার বাবার বাড়িতে বসবাস করতো। আমাদের ঘরে একটি কণ্যা সন্তানের জন্ম হয়। ২০১৭ সালের ১৫ এপ্রিল আমাকে কিছু না জানিয়ে সে চলে যায়। এর পর থেকে সে আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করে নাই। আমার শ^শুড় শাড়িকে বিষয়টি আমি জানাই। তখন তারা আমাকে বলে তাদের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিলে তারা আমাকে নিয়ে আসবে।তাদের ছেলে আমার সাথে সংসার করবে। কিন্তু আমার বাবার সে টাকা দেবার সমর্থ নেই। আমার বাবা একজন দিন মুজুর। এর কিছু দিন পর আমাদের বাড়ি পুলিশ যায়। পুলিশ আমাদের জানায় আমাদের নামে আমার স্বামীকে খুন করে গুমের অভিযোগ আছে। এর পরে পুলিশ তদন্তে করে রিপোর্ট দেয় সে আত্মগোপনে আছে। এর পর আদালত পিবিআইকে তদন্ত দেয়। তারা আতদন্ত করে । আমি আর আমার মা বহু হয়রানির শিকার হয়েছি। আদালতের কাছে আমার দাবি আমার হয়রানির বিচার ও আমার সন্তানের নিশ্চিত ভবিশ্যতের ব্যবস্থা যেন হয়। তিনি আরো বলেন আমার স্বামীর আগে একটা বৌ ছিলো আমরা জানতাম না। তা ছারা সে নেশা করতো ও নারীর উপর আশক্ত ছিলেঅ। আমি এগুলো বাঁধাদিলে আমাদের মধ্যে বিরোধ হয়।
কুস্টিয়া পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোঃ শহীদ আবু সরোয়ার লিখিত প্রেস বিফিংএ বলেন ভিকটিম রিপন কৌশলে মো: শরিফুল ইসলাম ছদ্ম নাম ধারণ করে গত ২০২০ সালের ১০মার্চ গাইবান্ধা জেলার শিমিলা আক্তার নামে এক নারিকে বিবাহ করে । এছাড়া সে ডার্ড কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিেিটডএ ইলেকট্রিক্যাল পদে চাকুরি করছিলো। দীঘ ৫ বছর প্রযুক্তি ব্যাবহার করে পর রিপনকে সুস্থ ও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :