ব্ল্যাকমেইলিং, চাঁদাবাজি, পর্ণোগ্রাফি নানা অপকর্মের প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন
সমাজের নারী ও পুরুষেরা ব্ল্যাকমেইলিং, চাঁদাবাজি, গার্ড অব অর্ণার, পর্ণোগ্রাফি, অনলাইন জুয়া, ইভটিজিং ও প্রতারণামূলক বাল্য বিয়ে সহ নানা অপকর্মের প্রতিকার চেয়ে মানববন্ধন করা হয়েছে।সোমবার বেলা ১১ টার দিকে মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি প্রদান করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, মেহেরপুর জেলা।
মানববন্ধনে বক্তব্য বলেন, মেহেরপুর হলো দেশের মুক্তিযুদ্ধের পীঠস্থান ও প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের পবিত্র ভূমি। মেহেরপুর জেলা দেশের ছোট জেলা হলেও রাজনৈতিক গুরুত্ব। এই জেলা এখন বিভিন্ন কর্মকান্ডে হচ্ছে কলুষিত। সমাজের নারী ও পুরুষেরা ব্ল্যাকমেইলিং, চাঁদাবাজি, গার্ড অব অর্ণার, পর্ণোগ্রাফি, ইভটিজিং ও প্রতারণামূলক বাল্য বিয়ে সহ অনেক অশোভন কাজে জড়িয়ে ধ্বংসের মুখোমুখি। তার সাথে যোগ হয়েছে অনলাইন জোয়ার মত যুব সমাজ নষ্ট করার মত আসক্তি। পুলিশি অভিযানে কিছু কিছু জড়িতরা ধরা পড়লেও আবার আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে আসছে। আবার সে সব কাজেই লিপ্ত হয়ে চরমভাবে লংঘন করছে মানবাধিকার। ইদানিং অনেক মেয়েই নিরাপদ নয়। হরহামেশাই হচ্ছে ইভটিজিং সহ মেয়েদের সরলতার সুযোগে চলছে পর্ণো ব্ল্যাকমেইলিং এর শিকার। বিশেষ করে হোটেল আটলান্টিকা কেলেংকারীর পর, কিছু প্রভাবশালী দালাল সমাজ ব্যবস্থাপনা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে যৌনতার নেশায় পড়ে। আবার একজন সাধারণ মেয়ে কিছু শীতবস্ত্র বিতরণ করে রাষ্ট্রীয় প্রাটোকল ভেঙে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে নিয়েছে গার্ড অব অনার যা মানবতা বিরোধী।
বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশন, মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি কামরুজ্জামান খাঁন, সহ-সভাপতি মহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন হিল,
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিলারা জাহান, সাংবাদিক ও গবেষক আতাউর রহমান, সাংস্কৃতিক কর্মী সোহেল রানা। এছাড়াও সুশীল সমাজের জনপ্রতিনিধি ও স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা।