বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে সোনার বাংলা গড়াই অংশ নিতে চাই——- আব্দুল্লাহ আল মামুন

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:14 PM, 19 October 2020

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের দোয়া ও দলীয় মনোনয়ন পেতে গণসংযোগে নেমেছে সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ইতো মধ্যেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের রামদেবপুর গ্রামের আব্দুল্লাহ আল মামুন। মানবতার কল্যাণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের কাছের মানুষ আব্দুল্লাহ আল মামুন। মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করার কারণে মানুষের ভালোবাসা ও জনপ্রিয়তাও কুড়িয়েছেন তিনি।

আব্দুল্লাহ আল মাামুন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের রামদেবপুর গ্রামের মৃত রেজাউল হকের ছেলে ।

ছোটবেলা থেকেই গরীব, দুঃখী ও অধিকার বঞ্চিত মানুষের দুঃখ কষ্ট তাকে পিড়া দিত। অধিকার বঞ্চিত মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করতেন তিনি। মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করার দৃঢ় ব্রতি হন তিনি। পিতা রেজাউল হক আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন দীর্ঘদিন। সেই সুবাদে এলাকার অনেক আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ তাদের বাড়িতে আসা-যাওয়া ছিল প্রতিনিয়ত। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শে আদর্শিত হয়ে ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার একজন সৈনিক হতে চান তিনি।
১৯৮৯ সালে এসএসসি এবং ১৯৯১ সালে আব্দুল্লাহ আল মামুন এইসএসসি পাশ করেন। বর্তমানে তিনি তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত দিনে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন সমবায় ফেডারেশন গাংনী উপজেলার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। উপজেলা বিআরডিবি’র সাবেক সভাপতি এবং তেতুলবাড়িয়া ইসলামীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

বিভিন্ন সময়ে মানুষের বিভিন্ন দুর্দশা, বিরোধ নিষ্পত্তি করণসহ অসহায় শিক্ষার্থী ও অসুস্থদের চিকিৎসা প্রদানে সহায়তা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ইতোমধ্যে করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সামগ্রী ও লকডাউনের সময় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে ইতোমধ্যেই মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, মামুন ছোট বেলা থেকেই পরোপকারী। বিপদ আপদে মানুষের পাশে দাড়ানো তার অভ্যাস। বাবা মায়ের বাধ্যগত এই মামুন এখন গরীবের বন্ধু। বিপদ আপদে এলাকাবাসির একমাত্র ভরসা। বিগত ইউপি নির্বাচনে অনেক জনপ্রীয়তা থাকলেও দলীয় কোন্দল ও একাধিক প্রার্থী হওয়ায় ভোটাররা তাদের সীদ্ধান্ত নিতে পারেন নি। আগামী নির্বাচনে জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।

আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ছোটবেলা থেকেই মানবতার কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছি। রাজনীতির মাধ্যমে নিজের আখের গোছানোর কোন অভিসন্ধি আমার নেই। আমি চেয়ারম্যান না হয়েও সদাসর্বদা জনগণের পাশে থেকে তাদের সেবা করে আসছি। জনগণের ভালোবাসা নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। মানুষ আল্লাহর সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের কল্যাণে কাজ করায় মানুষের প্রকৃত ধর্ম। আর এই মানব ধর্মকে বুকে ধারণ করে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালন করেছি সুনামের সাথে। জনগণ আমার পাশে আছে আর জনগণের ভালোবাসা নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।

তিনি আরো জানান, বিগত পাঁচটি বছর অতিবাহিত হলেও তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নে উন্নয়নের ছিটে ফোটাও লাগেনি। সরকারী অর্থ তছরুপ করে নিজের আখের গুছিয়েছেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে নির্বাচিত হলে তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নকে একটি সেবাকেন্দ্র হিসেবে গড়তে তুলতে তুলব। এরই মধ্যে জনগন প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহনে উদ্বুদ্ধ করছেন। আমিও একজন বঙ্গবন্ধু’র সৈনিক হিসেবে সোনার বাংলা গড়ায় অংশ নিতে চাই। আমার বিশ্বাস আমি নৌকার পক্ষে মনোনয়ন পেলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে মানুষ আমাকে নির্বাচিত করবে। আমি মনোনয়ন পেলে এবং নির্বাচিত হলে পিছিয়ে পড়া তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তোলার সর্বাত্বক চেষ্টা অব্যহত থাকবে।

আপনার মতামত লিখুন :