প্রচন্ড গরমে মেহেরপুরে বেড়েছে তাল শাঁসের কদর

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:19 PM, 25 May 2022

প্রচন্ড গরমে মেহেরপুরে তাল শাঁসের কদর বেড়েছে। জৈষ্ঠ্যের দুপুরে, প্রচন্ড গরমে শরীর যখন ক্লান্ত ঠিক তখনই খুব দ্রুত প্রশান্তি এনে দিতে পারে তাল শাঁস। তাল শাঁসের ঘ্রাণ ও সুমিষ্ট স্বাদ বাঙ্গালিদের অনেকেরই প্রিয়।
সাধারণত গ্রীষ্মেকালে দেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলের সকল বাজার ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিক্রি করতে দেখা যায় কচি তালের শাঁস। বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন মূল্যে বিক্রি করা হয় এসব তালের শাঁস।
তবে মেহেরপুরের বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রতিটা তাল ১০ থেকে ১২ টাকায়। তবে হালি হিসেবেই এখানে তালের শাঁস বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতি হালি (৪ টা) তালের শাঁস বিক্রি করা হচ্ছে ১৫ টাকা দরে।
মেহেরপুর জেলা শহরের হোটেল বাজার, কোর্ট রোড, থানার ঘাট, ওয়াপদা মোড়, গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড বাজার, কাথুলী মোড়, হাসপাতাল বাজার, মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর, আনন্দবাসসহ জেলার বামুন্দী, হাড়াভাঙ্গা, কাজীপুর, বেতবাড়ীয়া, মটমুড়া, মহাম্মদপুর, তেঁতুলবাড়ীয়া, ধলার মোড়, ভাটপাড়া, মাইলমারী, নওপাড়া, আড়পাড়া, ধানখোলা, কচুইখালী, খড়মপুর, চিৎলা, গাড়াডোব, আমঝুপি, জুগিরগোফা, সহড়াবাড়ীয়া, বাদিয়াপাড়া, তেরাইল, জোড়পুকুরিয়া, হিন্দা, মড়কা ও কসবাসহ বিভিন্ন এলাকায় তাল শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে।
গাংনী বাসস্ট্যান্ড বাজারে তাল শাঁস বিক্রেতা সাহারবাটী গ্রামের মহিরুল ইসলাম জানান, গত সপ্তাহ থেকে তাল শাঁস বিক্রি শুরু হয়েছে। আরও ২-৩ সপ্তাহ বিক্রি করা যাবে। তিনি চৌগাছা থেকে বেশ কয়েকটি তালগাছের তাল কিনেছেন জানালেন। প্রতিটা গাছের তাল ৪০০-৬০০ টাকায় ক্রয় করেছেন। যা বিক্রি করে ১৫০০-১৮০০ টাকা মুনাফা আসতে পারে বলে জানান।
সাহারবাটী গ্রামের অপর এক বিক্রেতা মহিবুল জানান, গতবছর তাল গাছে বেশি তাল ছিল। এবছর তালের সংখ্যা কম হওয়ায় খুব বেশি মুনাফা হবেনা।
বামুন্দী এলাকার শরিফুল জানালেন, প্রতিদিন মাঠে কাজে গেলে ৪-৫’শ টাকা আয় হচ্ছে। সে তুলনায় তাল বিক্রি করে তেমন একটা লাভবান হওয়া সম্ভব নয়। সারাদিন রোদে পুড়ে তাল শাঁস বিক্রির ছাড়া দিনমজুর খাটাই ভালো।
মাইলমারী গ্রামের তাল গাছ মালিক আতিয়ার রহমান জানান, তাল শাঁস যারা বিক্রি করেন এরাই বেশি লাভবান হয়ে থাকে। ওরা ২-৩’শ টাকায় গাছের তাল কিনে তা বিক্রি করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন। লোকসানে তালগাছ বাগান মালিকরা। তবুও বজ্রপাত রোধে দাদার আমলের তালের গাছগুলো রেখেছেন।
এদিকে বজ্রপাত রোধে গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, নওপাড়া ও তেঁতুলবাড়ীয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার তালগাছ রোপণ করেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি।

এব্যাপারে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলী খাতুন জানান,উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার পাশে সরকারী ভাবে তাল গাছ লাগানো হয়েছে। বজ্রপাত রোধে কাজ করে থাকে। এছাড়াও তাল সাঁশে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পুষ্টি। তাল গাছে বছরে একবার ফুল আসে যার ফলে এলাকার সাধারণ মানুষের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :