নির্বাচনে সাংবাদিকদের বাধা দিলে ৩ বছরের জেল চায় ইসি’

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  11:24 AM, 12 September 2022

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, নির্বাচনের খবর সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দিলে সংশ্লিষ্টদের তিন বছরের কারাদণ্ডের বিধান চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ লক্ষ্যে সংস্থাটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

গতকাল রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, সাংবাদিকদের ক্যামেরাই আমাদের চোখ। আমাদের চোখে যেন প্রত্যেকটা অনিয়ম ধরা পড়ে। এজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো। আমার (ইসির) অন্যায়গুলো আপনার চোখে ধরা পড়লে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমার ভুল ভ্রান্তি দেখিয়ে দেন, আমি নিজেকে শুধরে নেবো। এই মূল্যায়ন আমি মিডিয়াকে করে আসছি।

ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে অনিয়ম, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। এজন্য এই নির্বাচনে ২৬৫টি ভোটকক্ষের ৩৬৫টি সিসি ক্যামেরা রেখেছি। কন্ট্রোল রুম আমাদের ইসিতেই আছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে যে অনিয়ম ধরা পড়েছে, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

জোরপূর্বক একজনের ভোট অন্যজন দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, আমরা চিহ্নিত করেছি। মাঠ প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত হওয়ার ছাড়াও যারা সন্ত্রাসী, জোরপূর্বক ভোট দেওয়ার চেষ্টা করে থাকেন, তারা ভয়ের মধ্যে থাকে। ১১টা বুথে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা অনিয়মে জড়িতদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় এনেছি।’

আহসান হাবিব বলেন, সংসদ নির্বাচনেও সব কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আন্তরিক ইচ্ছা, প্রচেষ্টা থাকবে। এটার সঙ্গে আর্থিক ও টেকনিক্যাল সাপোর্টের বিষয় আছে। কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ, ইন্টারনেটও নেই। তবে আমাদের ইচ্ছা আছে।
তিনি আরও বলেন, বাজেট বরাদ্দের ঘাটতি থাকলে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সিসি ক্যামেরা দেবো। ইচ্ছা আছে পুরো নির্বাচনটাই সিসি ক্যামেরার মধ্যেই আনা। সংসদের আগে যত নির্বাচন হবে সবগুলোতে ইভিএম ব্যবহার করবো এবং সিসি ক্যামেরা থাকবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। এটা লাক্সারি নয়, এটা এখন প্রয়োজন। সূত্র জাগো নিউজ ২৪ ডটকম।

আপনার মতামত লিখুন :