মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভা ০২ নং ওয়ার্ড শিশিরপাড়ায় নির্বাচনী প্রচারকালে স্বতন্ত্রী প্রার্থী বর্তমান আশরাফুল ইসলামের হারিয়ে যাওয়া পিস্তলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে গাংনী পৌর এলাকার শিশিরপাড়া গ্রামের মধ্যপাড়ার নুর ইসলামের বাড়ির আঙ্গিনার একটি বিচালি গাঁদার নিচ থেকে পিস্তলটি উদ্ধার করে গাংনী থানা ও মেহেরপুর ডিবি পুলিশের দু’টিদল।

জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১টার দিকে গাংনী পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বর্তমান মেয়র আশরাফুল ইসলাম প্রচারণার সময় আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী আহম্মেদ আলীর লোকজনের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। এসময় আশরাফুল ইসলামসহ তার পক্ষের ১৪জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে আহম্মেদ আলীর পক্ষের ৬জন আহত হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন। হামলার সময় আশরাফুল ইসলামের কাছে থাকা লাইসেন্সকৃত পিস্তল হামলাকারীরা ছিনিয়ে নিয়েছে বলে আশরাফুল ইসলাম অভিযোগ করেছিলেন। এসময় আহম্মেদ আলীর লোকজনও নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এক পর্যায়ে আহম্মেদ আলীর লোকজন আশরাফুল ও তার লোকজনকে হামলা করেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেন। হামলার সময় দু’টি গুলির শব্দ শোনা যায়।

প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম জানান, আমি লোকজন নিয়ে নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত ছিলাম। এসময় আওয়ামীলীগ প্রার্থী আহম্মেদ আলীর লোকজন আমাদের উপর হামলা চালাতে থাকে। হামলার ১৪ জন আহত হয়। হামলার সময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল হােসেন আমার কাছ থেকে লাইসেন্স করা পিস্তল কেঁড়ে নিয়ে পরপর ৩টি ফাঁকা গুলি চালায়।

আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আহম্মেদ আলী জানান, এটা নিছন মিথ্যা কথা। আমার লোকজন নির্বাচনী আচরণ মেনে গুটি কয়েক কর্মী শিশিরপাড়ায় নির্বাচনী কাজ করছিল। এসময় স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম তার লোকজনদের নিয়ে আমার কর্মীদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ৬জন কর্মী আহত হয়।

এদিকে উভয় পক্ষের গুরুতর আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম তাৎক্ষনিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে আশরাফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী আহম্মেদ আলী নির্বাচন উপলক্ষে বহিরাগতদের নিয়ে এনে গাংনী শহরের বিভিন্ন স্থানে রেখে দিয়েছেন। জোর করে নির্বাচনে জয় লাভ করার আশায় এ সব বহিরাগতদের নিয়ে এসেছেন। এ ঘটনায় হামলারকারীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আশরাফুল ইসলামের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া পিস্তলটি ঘটনার ৮ ঘণ্টা পর পুলিশ উদ্ধার করে। পিস্তল উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব প্রদান করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন) জামিরুল ইসলাম,গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান।

গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, পিস্তল ছিনিয়ে নেয়ার পর থেকে শিশিরপাড়া গ্রামের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল। অবশেষে পিস্তল,১টি ম্যাগজিন ও পিস্তলের ৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের সময় পুলিশের একটিদল উপস্থিত ছিল।