গাংনীতে রাস্তাগুলো কাগজে-কলমে ঠিক, সরেজমিনে বেঠিক

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  08:28 PM, 29 August 2020

কাগজে-কলমে শুনি প্রায় রাস্তাগুলো সংস্কার হচ্ছে।কিন্তু বাস্তবতায় নেই এর কোন মিল, যে রাস্তাটি কথার বলছিলাম সেটি হচ্ছে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার চোখ তোলা নামক স্থানের রাস্তা। প্রায় প্রতিদিনই দেখা যায় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে সড়ক ও জনপথ বিভাগের লোকজন রাস্তা সংস্কার করছে।

এছাড়াও উপজেলার চোখতোলা নামক স্থানের সড়কটি বেহাল অবস্থায় রয়েছে।জোরপুকুরও চোখতোলা সড়কটি খানাখন্দে ভরা প্রায় ২০০মিটার রাস্তা।এ সড়ক দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিপোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের।

সড়কের মাঝখানে থাকা বড় বড় গর্তে পড়ে উল্টে যাচ্ছে অটোরিকশাসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন।কিন্ত বিকল্প সড়ক না থাকায় ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন যাতায়াত করছে হাজারো মানুষ।

তবে মেহেরপৃুর সড়ক বিভাগ বলছে, সড়কটি সংস্কারের জন্য উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে কাজ শুরু হবে।

স্থানীয়রা বলছে,মেহেরপুর-মুজিবনগর থেকে শুরু হয়ে সড়কটি কুষ্টিয়ার মধ্যে দিয়ে ঢাকায় গিয়ে শেষ হয়েছে।বেহাল অবস্থার কারণে উল্টে যায় শত শত রিকশা ভ্যানসহ বড় যানবাহন।

ডাইভার সাইফুল ইসলাম গাংনীর চোখ’কে জানান, খারাপ রাস্তার কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যানবাহন।গাংনী মালশাহদুয়া ব্রিজটি ফাটল ধরায় ঝুঁকিপূর্ণর মধ্যে দিয়ে প্রতিদিন চালাতে হয়।এছাড়াও জোরপুকুর মোড় থেকে চোখতোলা রাস্তা ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে হরহামেশা। সড়কটি সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন উপজেলা বাসী।

গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের হাজেরা খাতুন গাংনীর চোখ’কে জানান,আমি আত্মীয়র বাড়ি থেকে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলাম।সামনের দিক থেকে আসা একটি ট্রাককে জায়গা দিতে গেলে সড়কের ভাঙা অংশে চাকা পড়ে আমাদের অটোরিকশা উল্টে যায়। আমিসহ অটোর ছয় যাত্রী আহত হন।

সাংবাদিক মিনারুল ইসলাম গাংনীর চোখ’কে জানান,চোখতোলা স্থানে ভাঙা রাস্তার ওপর মোটরসাইলসহ যে কোন গাড়ী ছাইড দিতে গেলে দুর্ঘটনা ঘটছে।দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার ও ব্রিজটি নতুন নির্মাণ না করা হলে প্রতিদিন দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তিনি।

এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করেন স্কুলের শিক্ষক টুটুল গাংনীর চোখ’কে জানান, সম্প্রতি ভাঙা সড়কের চোখতোলা নামক স্থানে গাড়ী উল্টে আহত হন।
আলগামন চালক আরিফ বলেন, আমরা গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই।রাস্তার কারণে গাড়ির পেছনে যত টাকা খরচ হয়, তাতে আমাদের পরিবার নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে।

কাষ্টদহ গ্রামের অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাবিব গাংনীর চোখ’কে জানান, বাড়ি থেকে আমার বিদ্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ৩কিলোমিটার।আমি হেঁটে এসে চোখতোলা মোড় থেকে ভ্যান যোগে জোরপুকুর স্কুলে যেতে হয়।এর ২০০ মিটার রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় কারণে।স্কুলে সঠিক সময়ে পৌছাতে পারিনা।এছাড়াও ভাঙ্গ যায়গায় গাড়ী ছাইড দিতে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে তিনি সড়কটি সংস্কার করার দাবি করেন।

গাংনী সরকারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম গাংনীর চোখ’কে জানান,গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ছাত্র ছাত্রীরা কলেজে বড় ছোট যানবাহন করে আসতে হয় তাদের।সেখানে মালশাহদুয়া নামক স্থানের সড়কে মাঝখানে থাকা ব্রিজটি ফাটল ধরায় ঝঁকির মধ্যে গাড়ী চলাচল করে।

এছাড়াও সড়কের চোখতোলা স্থানে রাস্তা ভাঙ্গাচোরা কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা খুবই ঝুঁকির মধ্যে আছে।আমরাও ভয়ে থাকি কখন কি দুর্ঘটনা ঘটে।তিনি ব্রিজ ও সড়ক সংস্কারের দাবী করেন।

এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী গোলাপ আলী শেখ গাংনীর চোখ’কে জানান, কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের চোখতোলা থেকে জোরপুকুর মোড় পর্যন্ত মাত্র ২০০মিটার রাস্তার অবস্থা খুব খারাপ তবে আমার কিছু করার নেই।রাস্তাটি রোডস এন্ড হাইওয়ের শুনেছি রাস্তা নির্মানের টেন্ডার হয়েছে দ্রুত কাজ শুরু হবে।

আপনার মতামত লিখুন :