গাংনীতে যুবলীগ সভাপতির গুলি বর্ষনের ঘটনায় সাংসদের সড়ক অবরোধ, হরতালের হুমকি

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  07:35 AM, 19 April 2022

(ফলোআপ)-২ঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেনের সাথে সাবেক ছাত্রনেতা সাহিদুজ্জামান শিপুর সাথে বাকবিতন্ডার জেরে গুলি বর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা যুবলীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এসময় যুবলীগ সভাপতি ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এঘটনায় যুবলীগ সভাপতি সহ তার সহযোগিদের গ্রেফতারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন সহ আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে সাময়িক যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সাহিদুজ্জামান শিপু বলেন,যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন,জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন,গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক মজিরুল ইসলাম,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সহ তার সহযোগিরা গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন নির্বাচিত সভাপতি সাধারন সম্পাদককে মেনে নিতে না পেরে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যাচার সহ নানা অপপ্রচার করে আসছে। এ বিষয় নিয়ে যুবলীগ সভাপতির কার্যালয়ে আলোচনার জন্য কয়েকজন নেতা কর্মীকে সাথে কথা বলতে গেলে বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এসময় যুবলীগ সভাপতি তার কাছে থাকা পিস্তুল দিয়ে পরপর দুই রাউন্ড গুলি বর্ষন করে।
গাংনী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু বলেন,আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর গুলি বর্ষনের ঘটনায় গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন ও সাধারন সম্পাদক মখলেচুর রহমান মুকুল সহ আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে যুবলীগ সভাপতিকে গ্রেফতার পূর্বক অস্ত্র জব্দ করার দাবি করে।
গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মখলেছুর রহমান বলেন, গাংনীতে বেশ কিছুদিন ধরে মোশাররফ হোসেনসহ তাঁর সহযোগিরা মিথ্যা অভিযোগ তুলে নানা রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছেন। তাকে সহ তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যদের কাছে থাকা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার পূর্বক গ্রেফতারের দাবি করেন।
গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাংসদ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন,আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের উপর গুলি বর্ষনের ঘটনায় মোশররফ হোসেন,জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন,গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক মজিরুল ইসলাম,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সহ তার সহযোগিদের মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে। গ্রেফতার করা না হলে বুধবার যানবাহন ও দোকান পাট বন্ধ করে হরতাল পালনের হুশিয়ারী দেন তিনি। এসময় তাদের গাঁজা ও মদখোর কুলাঙ্গার উল্লেখ করে যুবলীগ ও কৃষকলীগ থেকে বহিস্কারের দাবি করেন তিনি।
যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন,ইফতার শেষ করে যুবলীগ অফিসে বসে থাকাবস্থায় এমপির সহযোগিরা আতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হামলা থেকে রক্ষা পেতে নিজের লাইসেন্সকৃত পিস্তুল দিয়ে দুই রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন তিনি ।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক জানান,উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেনকে পুলিশের নিরাপত্তা হেফাযতে নেয়া হয়েছিলো। সোমবার দিবাগত রাত ২ টায় গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলীর জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য: ১৯ এপ্রিল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটিকে রাজাকারমুক্ত করার দাবি তোলেন জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন,যুগ্ম সম্পাদক মজিরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন। এ ঘটনার জেরে হামলা,গুলিবর্ষন ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।

আপনার মতামত লিখুন :