গাংনীতে মহিলা অধিদপ্তরের উদ্যোগে উপকৃত হচ্ছে গ্রামের মানুষ

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:32 PM, 12 November 2020

“যে রাধে সে চুলও বাঁধে” তেমনই একজন সফল নারী গাংনী উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নাসিমা খাতুন। নির্যাতিত নিপীড়িত নারীর পাশে দাড়িয়ে তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে কাজ মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর।

জানা গেছে, সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে বাল্যবিবাহ, যৌতুক, নারী নির্যাতন, নারীর আধিকার এবং নারীদের আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য নিরলস ভাবে কাজ করছেন এ দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। অফিসের অতিরিক্ত কর্যক্রমের মধ্যে চলতি অর্থ বছরে প্রায় ২৫-৩০টি মামলার তদন্ত আসে। দপ্তর থেকে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় তদন্তাধীন ১৫ টি নির্যাতিত নারীর সংসার ফিরিয়ে দিয়েছেন। চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে গাংনী উপজেলা কার্যালয়ে নারী নির্যাতনের অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। সুষ্ঠ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার পরও বিভিন্ন সময়ে সংসার টিকিয়ে রাখতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার ভূল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে নির্যাতিত ১৫ জন নারীকে সংসার ফিরিয়ে দিয়েছেন এ কর্মকর্তা। এর মধ্যে ৫টি তদন্ত প্রতিবেদন কোর্টে দাখিল করেছেন এবং ৫টি তদন্তধীন আছে।

মাতৃত্বকালীন ভাতা ভোগীদের সেবা দেওয়া, অসহায় ও দুঃস্থ নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ, হাতের কাজের মধ্যে পুতির কাজ ও বিউটিশিয়ান প্রশিক্ষণ অব্যহত রয়েছে। এসকল প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেক নারীই তার সংসারে আর্থিক ভাবে স্ববলম্বী হয়েছেন। সেবা দিচ্ছেন ১০৮৭ জন ভিজিডি কার্ডধারীর। কর্মজিবী মাদার ল্যাক্টেটিং এ ৬০০ জন নারী, প্রতি তিন মাসে ৮০ জন নারীর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্দ্যোগে এসকল প্রশিক্ষণ ও পরমর্শে উপকৃত হচ্ছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ।

পারিবারিক সমস্যা নিষ্পত্তির বিষয়ে ভুক্তভোগী গাংনী উপজেলার হাড়াভাভাঙ্গা গ্রামের গৃহবধু মমতাজ জানান, আমার সংসারে স্বামী ভুল বুঝে তালাক দিয়েছিলো। কোর্টে মামলা করেছিলাম তার প্রেক্ষিতে তদন্ত আসে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা খাতুনের কাছে। পরবর্তীতে তিনি অফিসে ডেকে দুই পক্ষের সাথে আলোচনা করে পুনরায় সেই সংসারে ফিরে এসেছি। বর্তমানে আমরা শান্তিতে সংসার করছি। একই কথা জানালেন এ উপজেলার অমতৈল গ্রামের সোনালী খাতুন।

এ সকল কার্যক্রমের বিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা কর্মকর্তা নাসিমা খাতুন বলেন, একজন মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে আমি নারীর মর্যাদায় সংসারে ফিরিয়ে দিতে পেরেছি। এটা আমার বড় পাওয়া। তবে কিছু কিছু সময় মিথ্যা বানোয়াট মামলার তদন্ত সঠিকভাবে তদন্ত করে যদি সেটি বাদীর বিপক্ষে যায় তখন তারা উল্টো অভিযোগ করেন। তখন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। মামলার সঠিক তদন্তের স্বার্থে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে গিয়ে অনেকেই মিথ্যা অভিযোগ করে। তবে আমার কোন কার্যক্রম কখনো বির্তকিত হয়নি।

আপনার মতামত লিখুন :