গাংনীতে ভাতিজার সাথে চাচির বিয়ে, স্বামীর স্বীকৃতির দাবিতে ভাতিজার বাড়িতে অনশন

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  02:05 PM, 29 January 2021

মেহেরপুরের গাংনীতে ভাতিজার সাথে চাচির বিয়ে করে স্বামীর দাবিতে ছেলে শাহিনের(৩৮) বাড়িতে অনশন শুরু করেছে। শাহীন উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ফজল হক এর ছেলে।বৃহস্পতিবার রাত থেকে অনশন শুরু করে চাচি ফরিদা খাতুন(৩৫)। চাচি ফরিদা খাতুন একই গ্রামের প্রবাস ফেরত ওয়াসিমের স্ত্রী।

স্থানীয়রা গাংনীর চোখ’কে জানান, গত সাড়ে তিন বছর আগে ওয়াসিম প্রবাসে থাকার কারণে শাহীন ও ফরিদার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরকীয়ার জের ধরে দুজন কে এলাকাবাসীরা এক ঘরে আটকে রেখে একটি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা হয়েছিল। হঠাৎ শুনতে পেলাম গতকাল রাতে আপন ভাইয়ের ছেলের সাথে বিয়ে করবে বলে তার(শাহিনের) বাড়িতে অবস্থান করছে।

ফরিদা খাতুন গাংনীর চোখ’কে জানান,গত দুই বছর আগের শাহিন আমাকে বিয়ে করে এবং বলে আমার এখন বাড়িঘর নেই বাড়ি ঘর তোলা হলে তোমাকে আমার বাড়িতে নিয়ে যাব। এই বলে সে আমাকে বিভিন্ন জায়গাতে নিয়ে গিয়ে রাত্রিযাপন করে। গতকাল আমি শাহিনের বাড়িতে উঠতে চাইলে শাহিনের বাবা ও তার পরিবারের লোকজন আমাকে বিভিন্ন জায়গায় হাত দিয়ে ও লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করে। তিনি আরো জানান, আমার আগের স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে শাহিন আমার কাছ থেকে চার লক্ষ টাকা নেই। আগের স্বামী আমাকে বাদ দিয়েছে যদি শাহিন আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্মহত্যার পথ বেছে নেব।

এ ব্যাপারে শাহিনের স্ত্রী গাংনীর চোখ’কে জানান,আমার ১৫ ও১০ বছরের সন্তান আছে এখন আমি কি করব ভেবে পাচ্ছি না আমি কোথায় যাবো। আর ফরিদার সাথে যে পরকীয়া সম্পর্ক আছে সেটা আমি কখনো শুনিনি তিন বছর আগে একটু ঝামেলা হয়েছিল। পরবর্তীতে সব ঠিক হয়ে গেছে কিন্তু কেন এখন আবার এমন হলো।

শাহিনের মা গাংনীর চোখ’কে জানান,ফরিদা আমার ছেলেকে বিয়ের দাবিতে বাড়িতে ঢুকতে চাইলে আমরা বাধা দেয় এ সময় একটু হাতাহাতি হয়। এ সময় ফরিদার কিছু আঘাত লাগতে পারে।ফরিদা শাহীনকে বিয়ে করেছি ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা আর কখনো আমরা ফরিদাকে ছেলের বউ হিসেবে মেনে নেব না।

এ ব্যাপারে শাহিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি এবং তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

গ্রামের সমাজপতি আতাউল হক(আয়তাল) গাংনীর চোখ’কে জানান, শাহিন বাড়ি থেকে পলাতক তাই দু’পক্ষের সাথে বসে বিষয়টি সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা সম্ভব হয়নি

ইউপি সদস্য আনারুল ইসলাম গাংনীর চোখ’কে জানান,বিষয়টা আমি লোকের মুখ থেকে শুনেছি। এখন পর্যন্ত উভয় পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। যদি আসে তাহলে আমি একজন ইউপি সদস্য হিসেবে যতটুকু করার দরকার সমাধান করার চেষ্টা।

গাংনী থানার ওসি মোঃ বজলুর রহমান গাংনীর চোখ’কে জানান,এখন লিখিত অভিযোগ করেনি যদি অভিযোগ করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্যঃফরিদা খাতুন এর ১৮ ও ২০বছরের দুটি ছেলে রয়েছে ও শাহিনের ১৫বছরের একটি ছেলে ও ১০বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মেহেরপুর গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের ইতিপূর্বেও গ্রামের সমাজপতিরা প্রশাসন কে না জানিয়ে ধর্ষণের মত বিচার টাকার বিনিময়ে রফাদফা করিয়েছেন এটিও মেটানোর চেষ্টা চলছে।

আপনার মতামত লিখুন :