(ফলোআপ)মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুরে এক ব‍্যবসায়ীর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। স্ট্রোকে মৃত্যু হলেও তা নির্বাচনী সহিংসতায় হয়েছে বলে পাঁয়তারা করছেন কুচক্রী মহল। তবে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করে কেউ অভিযোগ করেছেন নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যু হয়েছে তার। যেখানে পরিবারের সদস্যরা বলছেন স্ট্রোক করে মারা গেছেন, সেখানে কে বা কারা নির্বাচনী সহিংসতায় মৃত্যু বলে চালানোর কি রয়েছে? লাশই বা কেনো ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে? এ নিয়েই আলোচনা সমালোচনা পুরো কাজিপুর ইউনিয়নসহ গাংনী উপজেলা ব্যাপী।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মৃত হাশমত আলীর বাড়ি গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের আলম বাজার গ্রামে। তিনি একজন মুরগি ব‍্যবসায়ী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর), সকাল সাড়ে ৮টার দিকে প্রতিবেশীদের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে হাশমত আলী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর কিছুক্ষণ পরই তার মৃত্যু হয়।

মৃতের স্ত্রী মরফিনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী রাত থেকে অসুস্থ। এর আগে তার দুইবার স্ট্রোক হয়েছিল। রাতে তার স্প্রে (ইনহেলার) শেষ হয়ে যায়। সকালে স্ট্রোক করে মারা গেছে।’

স্হানীয় শিক্ষক তানজিমুন জানান, তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন। কে বা কারা অযথা লাশ নিয়ে খেলতে চাচ্ছেন। এ মৃত্যু নির্বাচনী সহিংসতায় নয়। সকালে কে বা কারা পুলিশকে ফোন করে জানালে পুলিশ এসে লাশ নিয়ে যায়।

স্থানীয় কাজীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস‍্য খবির উদ্দিন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। অথচ কে বা কারা ৯৯৯ ফোন দিয়ে বলেছেন, নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় গাংনী থানায় মামলা হবে বলে জানান তিনি।