গাংনীতে বাবার বিরুদ্ধে ছেলেকে বিষ খাওয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ(ভিডিওসহ)

গাংনীর চোখগাংনীর চোখ
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  09:33 PM, 20 October 2020

মেহেরপুরের গাংনীতে ওমর ফারুক(১৩) নামে এক শিশুর মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে শিশুটির পিতা। শিশু ওমর ফারুক গাংনী স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আজ মঙ্গল বার দুপুরে সেওড়াতলা গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। তবে শিশুর পিতা মুজিবর রহমান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও এখনও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।

 

গাংনীতে নিজের সন্তারকে বিষ খাওয়ায়ে হত্যার চেষ্টা অভিযোগ আপন বাবার বিরুদ্ধে

Gepostet von গাংনীর চোখ am Dienstag, 20. Oktober 2020

হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তরুণ বলেন শিশুটি মুখে বিষ দেবার প্রায় ৩/৪ ঘন্টা পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরিরের রক্তর সাথে বিষ মিশে গেছে। এখন তার বাঁচা মরা সব সৃষ্টিকর্তার হাতে।

ওমর ফারুকের মা সাবিনা ইয়াসমিন গাংনীর চোখ’কে বলেন, গত একবছর আগে আমার স্বামী মুজিবর রহমান আমার ছেলে মেয়েকে কেড়ে নিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এর পর থেকে আমি বাবার বাড়িতে ছিলাম। মাস দুয়েক আগে পলাশি পাড়া এনজিওতে শালিশির মাধ্যমে আমাকে আর অত্যাচার করবেনা বলে মুচলেকা দিয়ে নিয়ে আসে। এর কয়েক দিন পর থেকে আমাকে শাররিক ভাবে নির্যাতন শুর করে। আমার শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। সাথে সাথে আমাকে সহ আমার ছেলে মেয়েদের বিষ দিয়ে মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছিল। আজ দুপুর ১২ টার দিকে ছেলে ওমর ফারুককে বাড়ি থেকে ক্ষেতে নিয়ে যেয়ে তার গলায় বিষ ঢেলে দিয়ে বাড়ি নিয়ে আসে। ছেলে এসে আমাকে বিষ খাওয়ানোর কথা বলে।এর পর আমাদের হুমকী দিয়ে বাড়িতে আটকিয়ে রাখে। পরে আমার বড় মেয়ে জোহুরা সুযোগ বুঝে ওমর ফারুক সহ ্আমাকে নিয়ে গাংনী স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে নিয়ে আসে।

ওমর ফারুকের বড় বোন জহুরা খাতুন গাংনীর’চোখ’কে বলেন, আমার বিয়ে হয়ে বচ্চা হয়ে গিয়েছে। তার পরও আমার বাবা আমার মা সহ আমাদের নির্যাতন করে। আমাদেও আমার মার কাছে ভিড়দে দেয়না। আমার এক বোবা ভাই আছে তাকেও নির্যাতন করতে বাদ দেয়না। বাড়িতে পাড়া প্রতিবেশি কেউ আসলে তাদের সন্দেহ করে আমাদের নির্যাতন চালায়।

ওমর ফারুকের খালু আলমগীর গাংনীর চোখ’কে বলেন, সাবিনা ইয়াসমিনের বাবা মা বেঁচে না থাকায় তাকে দেখার মতো কেউ নেই। তাই মুজিবর রহমান এদের ওপর অত্যাচার করলে কেউ কিছু বলে না। সে নতুন বিয়ে করার জন্য এদের সকলকে মেরে ফেলতে চায়। তিনি আরো বলেন হাসপাতালে গাংনী থানার পুলিশের একটি দল হাসপাতালে এসেছিলো তারা দেখে গিয়েছে। আমিও থানায় যেয়ে ঘন্টা খানেক বসে ছিলাম। কিন্তু থানায় আমাকে পাত্তা না দেওয়ায় আমি অবশেষে চলে এসেছি।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান জানান, ঘটনার খবর পেয়ে হাস পাতালে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পরিবার অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

আপনার মতামত লিখুন :